বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চারদিকের বিভিন্ন ঘটনায় আমরা ভয়ার্ত। ব্যক্তিগতভাবে নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবে ভয়ার্ত। আমরা এর আগেও দেখেছি, যখন কোনো মন্ত্রী-সচিবের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ আসে তখন সচিবালয়ের ফাইল গায়েব হয়ে যায়। আগুন লেগে যায়।
সচিবালয়ের আগুনের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বুধবার সংবাদপত্রে দেখেছি, অন্তর্বর্তী সরকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি চেয়ে পাঠিয়েছে। নথি চাওয়ার পর আগুন নিয়ে জনগণের মনে বিরাট প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত ‘রক্তাক্ত মতিহার ও রিজভী আহমেদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদের একটি সমিতি এই সভার আয়োজন করে। আলোচনায় সভায় বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুর ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ। সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় ভালো কিছু দেখা যাচ্ছে না- এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার কালাকানুনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ অনেক দলের আত্মত্যাগ অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের তৈরি আইনের সঙ্গে সাইবার সুরক্ষা আইনের কোনো পার্থক্য নেই। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের যে রুটটি দেখছি, তাতে ভালো কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে ভাঙার জন্য এ সরকারের ভিতরে ক্ষীণ প্রচেষ্টা কাজ করছে কি না, তা নিয়ে জনগণের ভিতরে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।