ঢাকা শিশু হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে শনিবার জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন-২০২০ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ সফ আহমেদ মুয়াজ, এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ এর লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাওলা বকস চৌধুরী এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জানান, হাম রোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইতিপূর্বে দেশে ২০০৬ সালে ক্যাচ আপ এবং ২০১০ সালে ফলো আপ ক্যাম্পেইন করার ফলে হামের প্রভাব বহুলাংশে কমে গিয়েছিল। ২০১২ সালে থেকে রুবেলা নিয়ন্ত্রণে হামের টিকার সাথে রুবেলা টিকা সংযোজন করে এমআর টিকা দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে, ২০১৪ সালে হাম-রুবেলা দূরীকরণে এমআর ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। কিন্তু রোগ নিরীক্ষণ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে দেশব্যাপী হাম রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ১৮ মার্চ হতে ১১ এপ্রিল, ২০২০ (৪ চৈত্র-২৮ চৈত্র, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ) ৩ সপ্তাহব্যাপী সারাদেশে পরিচালিত হতে যাচ্ছে জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন-২০২০। যার উদ্দেশ্য হলো, নয় মাস থেকে ১০ বছরের নিচের সকল শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা প্রদানের মাধ্যমে হাম-রুবেলা রোগের বিস্তার দ্রুত হ্রাস করা এবং নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম হতে দুই বছর বয়সের নিচের সকল বাদ পড়া ও ঝরে পড়া শিশুদের খুঁজে বের করে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে এমআর টিকা নিশ্চিত করা।
সভায় বক্তারা আরো জানান যে, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারাদেশের নয় মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে শিশুকে (পূর্বে এমআর টিকা পেয়ে থাকলেও) আবারো এক ডোজ এমআর টিকা দেয়া হবে। ক্যাম্পেইনটি দুই ভাগে পরিচালিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার