রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করা, ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল রাখা ও শৃঙ্খলা বিনষ্টের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তাবৃন্দ। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় একাডেমিক ভবনের সংযোগ সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ জুন থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একটি অংশ পদোন্নতি ও আপগ্রেডেশন বিষয়ক যে দুটি দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে তা গত ১১ জুলাই ৬২তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন এবং ৫৮ জনের ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালা সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। তবে অন্য প্রশাসন দায়িত্বে থাকাকালে অবৈধভাবে কর্মচারীদের নিয়োগ দেয়ায় তাদের ৪৪ মাসের বেতন বকেয়া ছিল, যার সাথে বর্তমান প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা নেই।
মানববন্ধনে লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান জুবায়ের ইবনে তাহের বলেন, অনতিবিলম্বে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে না দেয়া হলে কিভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তালা খুলতে হয় এবং ক্যাম্পাসকে গতিশীল করতে হয় তা আমরা জানি। আমরা চাই, আপনারা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বিবেচনায় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান করবেন।
একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আপেল মাহমুদ বলেন, কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবি অন্য উপায়ে পূরণ করা যায়। এভাবে প্রশাসনিক ভবন তালা দিয়ে ক্যাম্পাসের একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত করার অধিকার কারো নাই। আমরা ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে চাই, শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার ক্ষতি আমরা মেনে নিতে পারি না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম পিছিয়ে দিতে কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে, সেশনজটের কবলে পড়ে শিক্ষার্থীরা বিপদে পড়ছে। আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ের সমাধান করা সম্ভব। প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলতে পারে না।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিউল আজম খান-এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মন্ডল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী কর্মকর্তাদের সংগঠন স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজ আল আসাদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দফতরের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সামসুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম