রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদ বলেছেন, ‘এই জেনারেশন সম্পূর্ণ রুপে ইন্টারনেট ভিত্তিক। যে ইন্টারনেটকে প্রযুক্তির কল্যাণে ব্যবহার করার কথা, সেটাকে গুজবের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় মতিহার হলের টেলিভিশন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ বিষয়ক সেমিনারে এক প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদ আরো বলেন, আমরা ইন্টারনেটে ব্যবহারে আনাড়ি, তবুও আমাদের হাতে সব ধরনের প্রযুক্তি রয়েছে। আর এজন্য প্রযুক্তি অপব্যবহার হবে এটাই স্বাভাবিক। এখন আবার ভার্চুয়ালি চাঁদাবাজি সহ তথ্য চুরির ঘটনা ঘটছে। আর এসব নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ দরকার।
সেমিনারে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মামুন হুসাইন বলেন, মনোযোগ দিয়ে কোনো বিষয়ে অনুধাবন না করলে শূণ্যতা তৈরি হয়। এই শূণ্যতা থেকে মানুষ বিশৃঙ্খলা হয়ে উঠতে পারে। প্রযুক্তিকে যান্ত্রিক কাঠামোর ভেতরে বেশি না নিয়ে মানবিক কাঠামোর ভেতরে নিতে হবে।
লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারাহা নওয়াজ বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির আগে ইতিবাচক দিকটি আমাদের দেখতে হবে। তারপর নেতিবাচক ও নীতিগত বিষয় তুলে ধরতে পারলে আইন দ্বারা আমরা উপকৃত হবো।
মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষক ব্যাংকিং এন্ড ইনসুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাকিবুল ইসলাম নীরবের সঞ্চালনায় নিরাপত্তা আইন এবং বর্তমান বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আরো বক্তব্য দেন- সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শমরিতা আলম, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম।
এদিকে, সেমিনার শেষে হল প্রাধ্যক্ষকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় হলের কর্মচারীবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা। এর আগে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন প্রাধ্যক্ষের কাছে। এসময় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ