শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ঘন কুয়াশায় যানবাহনে ধীরগতি দিনেও জ্বলে হেডলাইট

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

ঘন কুয়াশায় যানবাহনে ধীরগতি দিনেও জ্বলে হেডলাইট

দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে মোটরসাইকেল। টাঙ্গাইলের একটি সড়ক থেকে গতকাল তোলা ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় টাঙ্গাইলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গত তিন দিন ধরে দিনে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও কাক্সিক্ষত উত্তাপ অনুভব করা যায়নি। রাত ও সকালে কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ। কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা দেছে। সকালেও হেডলাইট জ্বালিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে হচ্ছে। গতকাল টাঙ্গাইলে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার সদর উপজেলার কাগমারী, ধরেরবাড়ী, লাউজানা, চিলাবাড়ী, বাসারচর, গালা, লাউজানা, হুগড়া, কাতুলীসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় কুয়াশায় ঢাকা মিষ্টি সকাল। ঘনকুয়াশার কারণে খালি চোখে ৩০ গজ সামনেও কিছু দেখা যাচ্ছিল না। শীতের তীব্রতায় কষ্টে রয়েছে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ। বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। অসহায় মানুষ মসজিদ-মাদরাসা ও স্কুলের বারান্দায় রাত কাটাচ্ছেন। হাসপাতালে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। রিকশাচালক আবদুল কুদ্দুছ, রাজ্জাক, আলামিন, সাহেব আলী, রমজান মিয়া, কালু শেখসহ অনেকে জানান, কয়েক দিন ধরে খুব শীত পড়ছে, শীতের কারণে রাতে ও সকালে তারা ভাড়া খাটতে পারেন না। এখন গরিবের অসময় চলছে। একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে আয় কমে যাওয়ায় সংসারে অভাব দেখা দিয়েছে। বাসচালক রহমান মিয়া, হিটলার হোসেন, আবদুর রাজ্জাক, লাল মিয়াসহ অনেকে বলেন, সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সড়কগুলো কুয়াশায় ঢেকে থাকে। অনেক সময় গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও বেশিদূর দেখা যায় না। মহাসড়কেও একই অবস্থা। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, গত কয়েক দিন ধরে টাঙ্গাইলে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইছে। ফলে শীতের তীব্রতাও অনেক বেশি। গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর