অসহায় মা-বাবার আকুতি, আমার মেয়েকে একবার দেখতে দাও। মেয়ে বেঁচে আছে, না মরে গেছে আমরা জানি না। অপহরণ করে তারা কোথায় নিয়ে গেল আমার মেয়েকে। বিরলে এসএসসি পরীক্ষার্থী অপহরণের ২৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি। কোনো আসামিকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল দিনাজপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে এমন অভিযোগ করেন বিরল উপজেলার বিজোডা ইউপির বিস্তইর গ্রামের বাবা প্রদীপ কুমার ও মা দিপ্তি রানী দাস। লিখিত বক্তব্যে প্রদীপ কুমার বলেন, ‘আমার করা অপহরণ মামলার আসামি আলফাজ ওরফে আকাশ দীর্ঘদিন ধরে মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে কুপ্রস্তাব দিত এবং উত্ত্যক্ত করত। গত ২৭ নভেম্বর দুপুরে মেয়ে বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে আসার পথে আকাশ, রেয়াজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আরমানসহ আরও ৫-৬ অজ্ঞাত ব্যক্তি মেয়েকে জোর করে নম্বরবিহীন একটি মাইক্রোবাসে তুলে দিনাজপুর শহরের দিকে চলে যায়। ঘটনার সময় বিরল বাজার থেকে ওই পথে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় মানিক সরকার। তিনি ঘটনাটি দেখে আমাকে মোবাইল ফোনে জানান। তখন মেয়ের মোবাইলে বারবার ফোন দিয়েও আর যোগাযোগ করতে পারিনি। মেয়েকে উদ্ধারে আত্মীয়স্বজন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তির সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। পরে গত ৩ ডিসেম্বর বিরল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু পুলিশ মেয়েকে উদ্ধারে কোনো ভূমিকাই রাখছে না।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অপহৃত ছাত্রী মা দিপ্তি রানী, মামা পলাশ চন্দ্র দাস ও বাঁধন সরকার। পুলিশ আসামি ধরছে না এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিধান রায় জানান, আসামি গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধারে নিয়মমাফিক সব কার্যক্রম চলছে। এক্ষেত্রে কোনো অবহেলা নেই।