কুমিল্লার হোমনা ও তিতাস উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে হাভাতিয়া নদী। এ নদীর এক পারে তিতাসের বাতাকান্দির গুদারাঘাট, অন্য পারে হোমনা উপজেলার মহিষমারীর কালী গাছতলা ঘাট। এই পথে চলাচল করে হোমনা, তিতাস ও পাশের মেঘনা উপজেলার অন্তত ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। বিকল্প না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে বাতাকান্দি-মহিষমারী ঘাট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় হাভাতিয়া পারাপার হয়। বর্ষা মৌসুমে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। রাতে নৌকা চলে না। গুরুতর অসুস্থদের হাসপাতালে নিতে সমস্যা হয়। প্রতিদিন স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, বাজারে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। একটি ব্রিজের জন্য ক্ষোভ-আক্ষেপ প্রকাশ করেছে এসব মানুষ। সরেজমিন দেখা যায়, পুরান বাতাকান্দির গুদারাঘাট-মহিষমারীর কালী গাছতলা ঘাট পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থী, রোগী, গ্রামবাসীসহ সাধারণ মানুষ। তাদের একমাত্র ভরসা খেয়া নৌকা। নদীতে স্রোত থাকায় নৌকা ঘাটে না গিয়ে দূরে চলে যায়। স্থানীয়রা জানান, হোমনা উপজেলার মহিষমারী, মাথাভাঙা, জয়দেবপুর, মুন্সিকান্দি, মেঘনা উপজেলার পাড়ারবন্ধ, রাধানগর, মুগারচর, মোল্লাকান্দি, কাশিপুর, লক্ষণখোলা, তিতাসের পুরান বাতাকান্দি, বৈদ্যারকান্দি, রামভদ্রা, ডাবুরভাঙ্গা, ওমরপুর, গোবিন্দপুর, দুর্বলভদী, নয়াকান্দি, তাতুয়াকান্দি, বারকাউনিয়া, চরকুমারিয়াসহ অন্তত ৪০ গ্রামের মানুষ এ ঘাট দিয়ে নদী পারাপার হয়। শুকনো মৌসুমে নদীতে কচুরিপানা জমে, নৌকা আটকে যায়, চালানো যায় না। শিক্ষার্থীরা জানায়, কখন নৌকা ডুবে যায় সেই ভয়ে থাকতে হয়। ওমরপুর গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবাইয়া আক্তার জানায়, নদী পারাপারে আমাদের নৌকার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ ছাড়া ডুবে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। মহিষমারীর রিপন ভুঁইয়া বলেন, ব্রিজ না থাকায় এলাকাবাসীকে সাত মাইল-আট মাইল ঘুরে বাতাকান্দি বাজারে যেতে হয়। স্থানীয় গৃহিণী হালিমা বেগম বলেন, ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে সমস্যায় পড়ে। আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন যেন দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আবুল কাশেম ভুইয়া বলেন, এ পথে তিন উপজেলার ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। বাতাকান্দি ও গাজীপুরে স্কুল-মাদ্রাসা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। রাতে নৌকা না চলায় সে সময় রোগীদের হাসপাতালে নিতে সমস্যা হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, এলজিইডি কর্মকর্তারা গত বছর এ স্থান পরিদর্শন করেছেন। সয়েল টেস্টও হয়েছে। তবে এরপর আর কোনো অগ্রগতি নেই। উপজেলা প্রকৌশলী মো. খোয়াজের রহমান বলেন, ১০০ মিটার ব্রিজের প্রকল্পের আওতায় এর সয়েল টেস্ট হয়েছে বলে জেনেছি। আমি নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে কাজটি এগিয়ে নিতে চেষ্টা করব।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে
প্রকাশ:
০০:০০, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
আপডেট:
০১:৪৯, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
/
দেশগ্রাম
সেতুর আক্ষেপ ৪০ গ্রামের মানুষের
মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর