ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের এক কমিশনারের নির্দেশে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। বালু উত্তোলন করায় জনবসতি, আবাদি জমিসহ শুক নদীর ব্রিজের কিছু অংশ ভাঙনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল নদী থেকে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তা মানা হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী মহাসড়কের শুক নদীর ব্রিজের ১০ মিটার দূরে থেকে বালু উত্তোলন করে পাশের একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। এ নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করলে প্রশাসন তা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এলাকার কমিশনার ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রশাসনের কথা না শুনে রাতের বেলায় বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। এভাবে বালু উত্তোলন করলে ভবিষ্যতে আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এছাড়া মহাসড়কটিও ভাঙনের ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মনে, নদীর পাড়ে বাঁধে ধস না হওয়ার জন্য বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষেধ। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নিয়মও রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কমিশনার নুর ইসলাম ছুটু জানান, যে পুকুর নদীর বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে তা এলাকার মসজিদের। আমার নিজের স্বার্থে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে না। প্রশাসন বালি উত্তোলনে নিষেধ করলে রাতের বেলা বালি উত্তোল অব্যাহত রয়েছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে জান।
ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন জানান, শুক নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, অভিযোগ পেয়েই ওই এলাকায় নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু রাতের বেলা আবার বালু উত্তোলন চলছে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ