ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় এক মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সমের্তবান বেগম নামের এক জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে প্রত্যায়নপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সমের্তবান বেগমের মৃত্যুর আগেই তাকে মৃত দেখিয়ে ওই প্রত্যায়নপত্র দেওয়া হয়। এদিকে মৃত ব্যক্তির নিবন্ধন ও প্রত্যায়নপত্র দেওয়া সংক্রান্ত এখতিয়ার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের থাকা সত্ত্বেও নলছিটি ফয়রা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সবুর ওই প্রত্যায়নপত্র দেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন মঙ্গলবার ওই প্রত্যায়নপত্রটি জব্দ করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের ফয়রা গ্রামের মৃত ওয়াহেজ উদ্দিন হাওলাদারের স্ত্রী সমের্তবান বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে গত ৫ এপ্রিল মারা যান। তা সত্ত্বেও সমের্তবান বেগমের প্রবাসী পুত্র রুহুল আমিনের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে গত ২৩ মার্চ সমের্তবান বেগম মারা গেছেন উল্লেখ করে একটি প্রত্যায়নপত্র প্রদান করেন মাওলানা আব্দুস সবুর।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাওলানা সবুর বলেন, মাদরাসার সীল ও প্যাড ব্যবহার করে উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান ও আরবি প্রভাষক মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ তার স্বাক্ষর জাল করে ওই প্রত্যায়নপত্রটি প্রদান করেছেন। এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ডেকে তিন সদস্যের তদন্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রুহুল আমিন আমার মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র বিধায় তাকে সাদা কাগজে একটি ড্রাফট লিখে দিয়েছি। মাদ্রাসার প্যাডে দেওয়া প্রত্যায়নের ব্যাপারে কিছু জানি না।’
মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা কেফায়েত উল্লাহও তার বিরুদ্ধে মাদরাসা অধ্যক্ষের আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কুশঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, প্রত্যায়নপত্রটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৮ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল