পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগীতায় যুদ্ধাপরাধের নানা অভিযোগে আ: মান্নান খা ওরফে মন্নাফ খা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের শীর্ষনেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর এলাকায় এটি দ্বিতীয় যুদ্ধাপরাধের মামলা।
বুধবার দুপুরে ইন্দুরকানী উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দেলোয়ার ফরাজী বাদি হয়ে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আসাদুজ্জামন এর বিচারিক আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় মানুষ হত্যা, ঘর-বাড়ি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরিত করা , নারী ধর্ষণ সহ মোট ১৯ টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, মামলার আসামি আ: মান্নান খা ওরফে মন্নাফ খা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মিলিত হয়ে ইন্দুরকানী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ হত্যা, ঘর-বাড়ি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরিত করা ও নারীদের ধর্ষণ সহ বিভিন্ন অপরাধে করে। দায়ের করা মামলায় ২২ জনকে নামীয় সাক্ষী করা হয়েছে।
এছাড়া পিরোজপুর জেলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যে বই প্রকাশ করা হয়েছে সেই বইয়ের ৩৩৭ নং পৃষ্ঠায় ২২ নং ক্রমিকে কুখ্যাত রাজাকার হিসেবে আসামির নাম আছে যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদ হাসান বাবু জানান, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠনের পরে এ উপজেলার বাসিন্দা ও পিরোজপুরের সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যুদ্ধাপরাধের মামলার বিচার অপরাধ ট্রাইবুনালে প্রথম শুরু হয়েছিল।