ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঘরে ফেরার আনন্দে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে চরভদ্রাসন/মৈনট আন্তঃ জেলা লঞ্চ/ফেরি ঘাটের ভাড়া কেলেঙ্কারি। হয়রানি আতঙ্কে দিন পার করছেন তারা। কোন উৎসব পর্ব এলে নানা অজুহাতে যাত্রী হয়রানি করা এখন নিয়মে দাড়িয়েছে। এ ঘাটে দু’পর্বে হয়রানির স্বীকার হতে হয় যাত্রী সাধারণকে। দুই ঈদের সাত দিন পূর্বে মৈনট ঘাটে ও ঈদের পরের সাতদিন গোপালপুর ঘাটে যাত্রীদের ওপর চালানো হয় অনৈতিক ভাড়ার স্টিম রোলার।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনা হচ্ছে। ঢাকায় চরভদ্রাসন উপজেলা স্টুডেন্ট এসোসিয়েসন এর সাবেক সভাপতি শামীম মীর মালত’র ফেসবুকে জানান, মৈনট-গোপালপুর (চরভদ্রাসন, ফরিদপুর) ঘাটে অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে একটা পক্ষ। বছরের পর বছর এভাবে চলতে দেয়া যায় না। এই ঈদে ১২ মিনিটের নদীপথে তারা ৩৫০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া তারা আদায় করে! এই অন্যায় মোকাবেলায় একযোগে কাজ করা উচিত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল হতে ঘাট মালিক কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় কমিশনারের মৌখিক নির্দেশের দোহাই দিয়ে স্পিড বোর্ডে ১৬০ টাকার ভাড়া ১৭০ টাকা ও ৮০ টাকার ট্রলার ভাড়া করেছে ১০০ টাকা। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখি হলেও কোন প্রতিকার হয়নি।
ইতিমধ্যে দোহার অংশের মৈনট ঘাটে ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে ঢাকা হতে আসা সদরপুর উপজেলার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, তার কাছ হতে ২০০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়েছে। ইজারাদার নুরুল ইসলাম নাম সম্বলিত যে টিকিট তাকে দেওয়া হয়েছে তাতে কোন ভাড়ার পরিমাণও লেখা নেই। এছাড়া ট্রলারে ১২০ টাকা ভাড়া বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, সময় বাঁচাতে এ পথে সদরপুরের অনেক লোক চলাচল করে। কিন্তু ঘাট মালিকদের দৌরাত্ম্যে অনেকেই আসা বাদ দিয়েছে। তিনি প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানান।
বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদন ছাড়া গোপালপুর অংশে ১৪ এপ্রিল হতে স্পিড বোর্ডে ১০ টাকা ও ট্রলারে ২০ টাকা ভাড়া বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে ঘাট মালিক পক্ষের মো. ছামাদ বলেন, মৈনটের লোকজন ও আমরা মিলেমিশে ঘাট চালাচ্ছি। দোহারের ওরা ভাড়া বাড়াইছে কিনা জানি না।
ভাড়া বৃদ্ধির ব্যপারে মুঠোফোনে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ভাড়া বাড়ানোর তো কথা না। খোঁজ নিয়ে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা