শিরোনাম
- বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
- সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
- রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
- নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
- সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
- যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
- ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
- জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
- ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
- লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
- ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
- ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ
- জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি
- শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর
- বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের পাশে তারেক রহমান
- ক্লিন সিটি গড়তে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনা হবে: মেয়র
- আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল
- বলিভিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন পাস
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতিতে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

অবিরাম বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার সামান্য কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় চতুর্থ দফা বন্যায় গত তিনদিনে জেলার প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর আবাদি ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে রাজারহাট, ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, উলিপুর ও সদর উপজেলার নদনদীর চর ও দ্বীপচরের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। সেই সাথে কিছু কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। রাজারহাট ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় তিস্তা ও দুধকুমর নদীর ভাঙনে দুই শতাধিক বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে।
শুক্রবার ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে সামান্য কমে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমরসহ অন্যান্য নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় দেড়শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ অবস্থা আরো ৩ থেকে ৪ দিন থাকবে বলে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধরলা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে এ জেলায় চতুর্থ দফা বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নদনদীর পানির কারনে চর ও দ্বীপচরের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। দুর্ভোগে পড়েছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী।
এদিকে, জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। পাশাপাশি রাজারহাটে তিস্তা নদী ও সদরের কাঁঠালবাড়ীতে ধরলা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে অতিবৃষ্টির কারণে জেলায় আবারো চুতুর্থ দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত তিনদিনে নদনদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ২ হাজার ১০৪ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে আমন ১৮৪০ হেক্টর, মাসকালাই ১২৭ হেক্টর, শাকসবজি ১২৭ হেক্টর ও বাদাম ১০ হেক্টর।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
এই বিভাগের আরও খবর