শিরোনাম
- গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
- বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
- গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
- নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
- রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
- ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
- বরিশালে পৃথক অভিযানে মাদক ও জালনোটসহ আটক ৪
- সিভাসুতে রাজনৈতিক পদায়ন পাওয়া তিন কর্মকর্তাকে পদাবনতি
- খাগড়াছড়িতে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের সমাবেশ
- দেশ ও দলের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নবীউল্লাহ নবী
- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টায় স্বামী গ্রেফতার
- ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা
- নেত্রকোনার ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
- রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- মুখে ভালো কথা বলে সবার ওপর বোমা মারেন পুতিন, বললেন ট্রাম্প
- সিলেটে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
- পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতিতে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

অবিরাম বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার সামান্য কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় চতুর্থ দফা বন্যায় গত তিনদিনে জেলার প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর আবাদি ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে রাজারহাট, ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, উলিপুর ও সদর উপজেলার নদনদীর চর ও দ্বীপচরের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। সেই সাথে কিছু কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। রাজারহাট ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় তিস্তা ও দুধকুমর নদীর ভাঙনে দুই শতাধিক বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে।
শুক্রবার ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে সামান্য কমে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমরসহ অন্যান্য নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় দেড়শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ অবস্থা আরো ৩ থেকে ৪ দিন থাকবে বলে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধরলা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে এ জেলায় চতুর্থ দফা বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নদনদীর পানির কারনে চর ও দ্বীপচরের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। দুর্ভোগে পড়েছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী।
এদিকে, জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। পাশাপাশি রাজারহাটে তিস্তা নদী ও সদরের কাঁঠালবাড়ীতে ধরলা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে অতিবৃষ্টির কারণে জেলায় আবারো চুতুর্থ দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত তিনদিনে নদনদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ২ হাজার ১০৪ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে আমন ১৮৪০ হেক্টর, মাসকালাই ১২৭ হেক্টর, শাকসবজি ১২৭ হেক্টর ও বাদাম ১০ হেক্টর।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
এই বিভাগের আরও খবর