শিরোনাম
- ‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
- ফেব্রুয়ারিতে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
- মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩
- বিশ্বে ভূ-রাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেবে বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপি প্রার্থীর মতবিনিময়
- ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
- দিনাজপুরে বাসচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত
- বোলিং পিচে হেডের ঝড়, ইতিহাস গড়ে সেঞ্চুরি
- বরগুনায় ৪ ভুয়া চিকিৎসক আটক
- সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
- সিরাজগঞ্জে অসুস্থ দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা
- মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা
- ফের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বাইপালে নয়, নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
- আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
- নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
- দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের, তবে থাকছে চমক
- যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
- ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতিতে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
অবিরাম বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার সামান্য কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় চতুর্থ দফা বন্যায় গত তিনদিনে জেলার প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর আবাদি ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে রাজারহাট, ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, উলিপুর ও সদর উপজেলার নদনদীর চর ও দ্বীপচরের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। সেই সাথে কিছু কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। রাজারহাট ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় তিস্তা ও দুধকুমর নদীর ভাঙনে দুই শতাধিক বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে।
শুক্রবার ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে সামান্য কমে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমরসহ অন্যান্য নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় দেড়শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ অবস্থা আরো ৩ থেকে ৪ দিন থাকবে বলে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধরলা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে এ জেলায় চতুর্থ দফা বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নদনদীর পানির কারনে চর ও দ্বীপচরের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। দুর্ভোগে পড়েছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী।
এদিকে, জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। পাশাপাশি রাজারহাটে তিস্তা নদী ও সদরের কাঁঠালবাড়ীতে ধরলা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে অতিবৃষ্টির কারণে জেলায় আবারো চুতুর্থ দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত তিনদিনে নদনদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ২ হাজার ১০৪ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে আমন ১৮৪০ হেক্টর, মাসকালাই ১২৭ হেক্টর, শাকসবজি ১২৭ হেক্টর ও বাদাম ১০ হেক্টর।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
এই বিভাগের আরও খবর