শিরোনাম
- সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
- দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
- ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
- ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
- আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
- রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
- জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
- মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
- ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান
- ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’
- আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন
- শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
- নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
- নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে : আমান
- শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক: মীর হেলাল
- মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স
- ঝালকাঠিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় র্যাব সদস্যসহ নিহত ২
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতিতে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
অবিরাম বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার সামান্য কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় চতুর্থ দফা বন্যায় গত তিনদিনে জেলার প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর আবাদি ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে রাজারহাট, ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, উলিপুর ও সদর উপজেলার নদনদীর চর ও দ্বীপচরের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। সেই সাথে কিছু কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। রাজারহাট ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় তিস্তা ও দুধকুমর নদীর ভাঙনে দুই শতাধিক বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে।
শুক্রবার ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে সামান্য কমে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমরসহ অন্যান্য নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় দেড়শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ অবস্থা আরো ৩ থেকে ৪ দিন থাকবে বলে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধরলা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে এ জেলায় চতুর্থ দফা বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নদনদীর পানির কারনে চর ও দ্বীপচরের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। দুর্ভোগে পড়েছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী।
এদিকে, জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। পাশাপাশি রাজারহাটে তিস্তা নদী ও সদরের কাঁঠালবাড়ীতে ধরলা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে অতিবৃষ্টির কারণে জেলায় আবারো চুতুর্থ দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত তিনদিনে নদনদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ২ হাজার ১০৪ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে আমন ১৮৪০ হেক্টর, মাসকালাই ১২৭ হেক্টর, শাকসবজি ১২৭ হেক্টর ও বাদাম ১০ হেক্টর।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
এই বিভাগের আরও খবর