আগামী ৪ অক্টোবর থেকে দুই সপ্তাহব্যাপী সারাদেশের ন্যায় ভোলাতেও জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর জেলায় ২ লাখ ৭২ হাজার ৩০৬ জন শিশুকে একটি করে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার সিভিল সার্জন এর সভাকক্ষে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলী এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ৬ মাস থেকে ১ বছরের কম বয়সী ৩১ হাজার ৬৭৭ জন শিশুকে একলক্ষ ইউনিটের ১টি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী ২ লাখ ৪০ হাজার ৬২৯ জন শিশুকে দুইলক্ষ ইউনিটের ১টি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তিনি আরো জানান, ভোলা জেলার ১০ টি স্থায়ী কেন্দ্রসহ মোট এক হাজার ৬৯০ টি কেন্দ্রে দুই সপ্তাহ ব্যাপী প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলী আরও জানান, শিশুদের অপুষ্টি দূরকরণ, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, শিশুর স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানো উচিত। তিনি আরও জানান, করোনাকালীন সময়ের কারনে এবছর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ সময় কোন শিশুর মা ইচ্ছা করলে তার বাচ্চাকে নিজ হাতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন।
সিভিল সার্জন ডাক্তার ওয়াজেদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অরিয়েন্টেশন কর্মশালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. হাসনাইন আহমেদ, ভোলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক অমিতাব রায় অপু, ডা. ফারজানা খান জুটি, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোলাইমানসহ ভোলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার