নোয়াখালী জেলা শহর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা ও রাতভর আটকে রেখে নির্যাতনের শিকার সেই তরুণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার বিকেলে তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আর্থিক অসঙ্গতির কারণে নির্যাতনের শিকার সেই তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পারছে না খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে নোয়াখালী পৌর সভার মেয়র শহিদ উল্লাহ খাঁন ভুক্তভোগীর চাচার বাড়িতে তাকে দেখতে যান। এ সময় মেয়র ওই কিশোরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং তার চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন। এ ঘটনায় জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ওই তরুণীর সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পি (২৭) গ্রেফতার হলেও অপর তিন আসামি বাপ্পির বন্ধু রহিম, আরমান ও সাগরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যার কারণে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে আশ্রয় দেওয়া চাচার পরিবারের সদস্যদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার সময় সুধারাম মডেল থানার সামনে থেকে একটি অটোরিকশা তুলে তার সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পিসহ চারজন মিলে চোখ-মুখ চেপে ধরে ৩০ কিলোমিটার দূরে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামে বাপ্পির বাড়িতে যায়। বাড়ির লোকজন ওইদিন এক আত্মীয়ের বিয়েতে যাওয়ার সুযোগে ফাঁকা ঘরে রাতে নেশা করে চারজন মিলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে তার মুখ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে তারা। রাতের কোনো এক সময় নেশাগ্রস্ত চারজন ঝিমিয়ে পড়লে ভোরে পালিয়ে চাচার বাড়িতে ফিরেন ওই কিশোরী।
সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী বৃহস্পতিবার রাতে তার সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পি, বাপ্পির বন্ধু রহিম, আরমান ও সাগরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর পর ওই রাতেই বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইসমাইল হোসেন বাপ্পি(২৯) কবিরহাট উপজেলার নবগ্রাম গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করার পর বিচারকের নির্দেশে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বাকি তিন আসামিকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন