১৭ জুন, ২০২১ ১৮:৫০

সিরাজগঞ্জে ১৩ মাসেও চালু হয়নি আইসিসিইউ-ভেন্টিলেটর

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে ১৩ মাসেও চালু হয়নি আইসিসিইউ-ভেন্টিলেটর

ব্যবহার না করায় দুটি ভেন্টিলেটর একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।

করোনা মহামারি সংকটের ১৩ মাসেও চালু হয়নি সিরাজগঞ্জের সরকারি হাসপাতালের চারটি ভেন্টিলেটর-আইসিসিইউ সেবা। এতে করোনা রোগীর চিকিৎসা সেবা চরম ব্যাহত হচ্ছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের জন্য বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আইসিসিইউ চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতিকে দায়ী করে দ্রুত মানুষের জীবন রক্ষার্থে ভেন্টিলেটরসহ আইসিসিইউ চালুর দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

জানা যায়, ২০১৪ সালে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবন স্থাপন করা হয়। ওই সময়েই চারটি ভেন্টিলেটর কেনা হয়। ভেন্টিলেটরের জন্য আইসিসিইউ কক্ষ বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু সাত বছরেও চালু হয়নি ভেন্টিলেটর।

১৩ মাস আগে দেশে করোনা রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে ভেন্টিলেটরসহ আইসিসিইউ চালুর জোরালো দাবি জানান সিরাজগঞ্জ সচেতন মহল। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু করা হয়নি। ফলে করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর ঢাকা-রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে রোগীর স্বজনদের যেমন ব্যয়ভার বাড়ছে, তেমনি চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা কমিটির নেতা নবকুমার কর্মকার জানান, করোনা মহামারি সংকটের মধ্যে ভেন্টিলেটরসহ আইসিসিইউ চালু না করা স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির বড় প্রমাণ। যেখানে প্রতিদিন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে, সেখানে ভেন্টিলেটর থাকলেও মানুষ চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে-এটা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, দ্রুত যদি সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে ভেন্টিলেটর-আইসিসিইউ চালু না করা হয়, তবে সিরাজগঞ্জবাসী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, করোনা সংকটের শুরু থেকে ভেন্টিলেটর চালুপূর্বক জনগণের সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কার্যত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। সরকার যেন দ্রুত আইসিসিইউ চালু করে করোনা রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেন, এমটাই আমাদের প্রাণের দাবি।

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা না থাকায় ভেন্টিলেটরগুলো অব্যবহৃত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বারবার স্বাস্থ্য বিভাগে অবহিত করেছি। স্বাস্থ্য বিভাগও আশ্বাস দিয়েছে।

এছাড়াও আরো ১০টি ভেন্টিলেটরের জন্য আবেদন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ যদি সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাইসহ আরো ১০টি ভেন্টিলেটর স্থাপন করেন, তবে করোনা রোগীর শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করা যাবে বলে জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর