২০৩০ সালের মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্মূলে স্ক্রিনিংয়ের ভূমিকা শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনার কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বক্তারা ব্যাপক সংখ্যক নারীকে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ লক্ষ্যে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। জরায়ুমুখের ক্যান্সারের লক্ষ্মণ ও প্রতিকারসহ এ সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সেমিনারে আলোচনা করা হয়।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সুফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনোকোলোজিক্যাল অনকোলোজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন।
সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আ. ন. ম নৌশাদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. চাঁন মাহমুদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেদ, কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের এপিডেমিওলোজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার (রাসকিন) ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডা. আমিনুর রহমান।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, ইন্টার্ণ চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৩২০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ সেমিনারটির আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, প্রথমবারের মত জরায়ুমুখের ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ে পপুলেশন বেইজড রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের উদ্যোগে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন