শিরোনাম
২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:৫০

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমছে; ঠান্ডার তীব্রতায় জনভোগান্তি চরমে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি


কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমছে;
ঠান্ডার তীব্রতায় জনভোগান্তি চরমে

কুড়িগ্রামে ফের তাপমাত্রা কমতে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা ও আকাশ মেঘে ঢাকা থাকায় গত দুদিন থেকে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১ থেকে ১২ ডিগ্রিতে। এ অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি ক্রমেই বাড়ছে।স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে অনেক বেলা করেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলে যানবাহন। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ জীবিকার তাগিদে রাস্তায় রিকশা, অটোরিকশা চালালেও শীত ও কুয়াশায় যাত্রী না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন।কুড়িগ্রামের ত্রিমোহনী এলাকার রিকশাচালক শহিদুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রামে এমন শীত এবং কুয়াশা এর আগে দেখিনি। এবার কয়েকদিন থেকে খুব শীত।রাত থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে জীবিকার তাগিদে রিকশা নিয়ে বের হতে হয়েছে।কিন্তু কোনো যাত্রী পাচ্ছি না।

কলেজ মোড় এলকার ফরকের হাট থেকে আসা অটোচালক হামিদুল মিয়া জানান, সকাল থেকে কুয়াশা আর ঠান্ডায় বের হতে পারছিলাম না। একটু দেরীতে অটো বের করে চালাচ্ছি। শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে, তীব্র শীতে জেনারেল হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুরাই ঠান্ডাজনিত রোগ ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন বেশি। জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রমিজ উদ্দিন জানান, শীতের কারণে আমার শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। দুদিন ধরে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি। অন্যদিকে, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে কাজে যেতে শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন। খলিলগঞ্জস্থ রাস্তার পাড়ে বসে থাকা শ্রমিক মফিজল মিয়া জানায়, রোদ নেই কুয়াশা বেশি। কাজ কাম করতে পারিনা।রোজগার না থাকায় ইনকাম বন্ধ। কিভাবে চলব জানি না।

সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও আরো পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র প্রয়োজন বলে দাবি এলাকার শীতার্ত মানুষের। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর