২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৩০

বগুড়ায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতার

ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সহযোগী

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সেজে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশিকালে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত পৌনে ৮টায় সিও অফিস মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। নিজের নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে তারা ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করেছিল। এসময় তাদের কাছ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ের ১২টি ভিজিটিং কার্ড ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-গাইবান্ধা জেলার চকবারুল এলাকার সুকুমার চন্দ্র শীলের ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র শীল (২৫) ও বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা গ্রামের সন্তোষ কুমার শীলের ছেলে শয়ন কুমার শীল (২১)।

জানা যায়, রবিবার রাত পৌনে ৮টায় দুপচাঁচিয়ার সিও অফিস মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মো. আল আমিন মোবাইল ফোনে দুপচাঁচিয়া থানায় জরুরি দায়িত্বরত এসআই মো. মোসাদ্দেকুল ইসলামকে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে একটি টিম একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দুপচাঁচিয়া সিও অফিস মোড়ে মাদক উদ্ধারের কথা বলে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি শুরু করেছেন। এমন খবর পেয়ে এসআই মোসাদ্দেকুল ইসলাম তল্লাশি কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য সেখানে যান।

এসময় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় চন্দ্র শীলকে আক্কেলপুর থেকে বগুড়াগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশি করতে দেখেন। তাদের দুজনের কথায় সন্দেহ হওয়ায় নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয়। সঞ্জয় চন্দ্র শীল তার নাম পরিচয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এ অজয় কুমার দেবনাথ বলে জানান। এসময় তিনি তার পেশাগত পরিচয়পত্রের মোট ১২টি ভিজিটিং কার্ড বের করেন। ভিজিটিং কার্ডে রংপুর বিভাগের মাদক ও তামাক সেলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিভিল) লেখা রয়েছে। এছাড়াও তাতে ৩৯তম বিসিএস প্রশাসন লেখা রয়েছে। সঞ্জয় চন্দ্র শীলকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করেন তিনি কোনো এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নন এবং তার আসল নাম-পরিচয় সঞ্জয় চন্দ্র শীল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয় রংপুরে এস এ অজয় কুমার দেবনাথ নামে কোনো ব্যক্তি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিভিল) হিসেবে কর্মরত নেই। গ্রেফতার শয়ন চন্দ্র শীল সঞ্জয়ের একজন সহযোগী। তিনি তার সহায়তায় চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। তারা উভয়েই পেশাদার প্রতারক চক্রের সদস্য। পরস্পর যোগসাজশ করে প্রতারণামূলকভাবে অবৈধ লাভের আশায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরিচয় দিয়ে চেকপোস্ট বসে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসে প্রতারণামূলকভাবে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রতারণার অভিযোগে তার নামে গাইবান্ধা সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার আসামিদের আদালতে হাজির করে আদালতের নিকট পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর