মহা নবমী। অর্থাৎ দেবী দুর্গার নীলকণ্ঠ পূজা। ১০৮টি নীল পদ্ম কিংবা নীল অপরাজিতা ফুল দিয়ে এ যজ্ঞ করা হয়। এটাকে দেবী দুর্গার মহানবমীর বিহিতপূজা বলা হয়।
সোমবার রাঙামাটির ৪১টি পূজা মণ্ডপে চলে এ পূজার আনুষ্ঠানিকতা। সন্ধ্যার আরতির মধ্যে অঞ্জলি নিতে পূজা মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করে ভক্ত অনুরাগি আর দর্শনার্থীরা। রাঙামাটিতে শুধু সনাতন ধর্মালম্বীরা নয়। এ দুর্গোৎসব পালন করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ও।
শহরের দুর্গা পূজা মণ্ডব ঘুরে দেখা গেছে, নানা রঙে ঢঙে সেজে মণ্ডপে হাজির হচ্ছে সব বয়সের নারী পুরুষ। কেউ ফুল হাতে। কেউ মোমবাতি আর আগরবাতি হাতে। আবার অনেকে দান করছেন টাকাও। চলছে যার যার ইচ্ছা পূরণের প্রার্থনা। অনেকে দেবীর পায়ের সিদুঁর নিয়ে কপাল ছুয়ে দীর্ঘ আয় কামনা করছে সদ্য বিবাহিত নারীরা। গত চার দিন ধরে এমন চিত্র রাঙামাটির দুর্গা বাড়িতে। শ্রাভন্তি দাস বলেন, একটা বছর অপেক্ষা করার পর এ দুর্গোৎসব করা হয়। এটি সনাতণ ধর্মাবলম্বীদের প্রাধন উৎসব। যদিও ১২ মাসে ১৩টি পূজা থাকে। তার মধ্যে দুর্গা পূজা প্রধান। তাই এ উৎসবে বেশি আনন্দ উল্লাস হয়।
একইভাবে অভিমত ব্যক্ত করলেন পুরোহিতরাও। তারা বলেন, দুর্গার আরতি অঞ্জলি দিতে পারে তাদের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। প্রাথনা করা হয় জগতের সুখ শান্তির। নবমীর সন্ধ্যায় দেবীদুর্গার ‘মহা আরতি’ করা হয়।
মহানবমীতে বলিদান ও নবমী হোমের রীতি রয়েছে। মূলত ‘সন্ধিপূজা’ শেষ হলে শুরু হয় মহানবমীর আয়োজন। ভক্তদের দেওয়া ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হবে দেবীদুর্গার।
অন্যদিকে দুর্গোৎসব ঘিরে রাঙামাটি শহরে বসেছে মেলা। বাচ্চাদের খেলনাসহ মিলছে বড়দের গৃহস্থালী কাজের নানা সামগ্রী। পূজার পাশাপাশি মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সব ধর্ম, বর্ণের নারী পুরুষ।
রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. মীর আবু তৌহিদ বলেন, দুর্গা পূজা উপলক্ষে রাঙামাটিতে চার স্তরের নিরাপত্তা রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিরব শৃঙ্খলার মধ্যে পূজা উপভোগ করছেন ভক্ত অনুরাগী আর দর্শনার্থীরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল