রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

জেনে রাখা ভালো

স্বাস্থ্য ডেস্ক

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশুর শরীরে সেভাবে কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। খুব সতর্ক থাকাটা তাই বিশেষ প্রয়োজনীয়। তবে সচেতন থাকলে এই ভাইরাসকে পরাস্তও করা যাবে সহজে। আর পাঁচটা সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই এই রোগে আক্রান্ত শিশুরাও জ্বর, শুকনা কাশি, গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা ,বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগে। শিশুদের সংক্রমণ সাধারণত দু’ভাবে হতে দেখা যায়। প্রথমত, কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ থেকে রোগ ছড়াতে পারে। অথবা করোনাভাইরাস হচ্ছে এমন জায়গায় ঘুরে আসার পরও এই রোগ সংক্রমণ হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে হাঁচি, কাশির মধ্য দিয়ে  নির্গত থুথুর ড্রপলেট অথবা কোনো সারফেস থেকে আসা ভাইরাস হাতের মাধ্যম দিয়ে চোখ, নাক,মুখ দিয়ে শিশুদের শরীরে প্রবেশ করে। একটা বড় অংশের

(গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ২৮ শতাংশের) যেহেতু লক্ষণ সেভাবে কিছু থাকে না, বাড়ির অন্যদের কাছে তারা সুস্থ হিসেবেই বিবেচিত হয়। পরিবারের অন্য সদস্য, বিশেষত বয়স্কদের মধ্যে তারা রোগ সংক্রমিত করতে থাকে। তাছাড়াও কোলের শিশুরা যেহেতু হ্যান্ড হাইজিন আর কাফ এটিকেট মানার ঊর্ধ্বে, তাই অল্প লক্ষণযুক্ত শিশুরাও হাঁচি-কাশি ও হাতের মাধ্যমে অন্যদের রোগ সংক্রমিত করতে পারে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ২৯ শতাংশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর মলের নমুনায় এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। মলের মাধ্যমেও রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। এছাড়া ফ্লু হলেই শিশুর ব্যবহৃত সব বাসনপত্র ও গামছা আলাদা করুন। দিন দুয়েকে দেখে নিন শিশুর কোনও রকম শ্বাসের সমস্যা হচ্ছে কি না। হলেই দ্রুত করোনাভাইরাস পরীক্ষা করান। পজিটিভ হলে কোয়ারেন্টাইনে রেখে সুস্থ করে তোলার কাজে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।

তাই সচেতন হোন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর