সংবাদমাধ্যমের ওপর কিছুতেই ক্ষোভ মিটছে না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। টুইটারে এমএসএনবিসির দুই সঞ্চালককে কুকথা শোনানোর পর, মার্কিন ‘কেবল নিউজ নেটওয়ার্ক’–কে (সিএনএন) একহাত নিলেন তিনি। তবে এবার আক্রমণের ধরন একটু আলাদা।
২০০৭ সালে ‘রেসলম্যানিয়া ২৩’-এর প্রচারে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানে ‘ওয়ার্লড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট’-এর চেয়ারম্যান ভিন্স ম্যাকমোহনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। এলোপাতাড়ি ঘুষি-লাথি চালিয়ে তাকে ধরাশায়ী করেন। রবিবার রাতে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে সেই ভিডিওটিই পোস্ট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে ২৮ সেকেন্ডের সেই ভিডিওটিতে ম্যাকমোহনের মাথার জায়গায় সুপার ইম্পোজ করে সিএনএন-এর প্রতীকী বসানো হয়েছে। প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করে ট্রাম্প যখন ফিরে আসছেন, তখন ভিডিওর নিচে সিএনএন-এর প্রতীকীর আদলে ‘ফ্রড নিউজ নেটওয়ার্ক’ লেখা ফুটে উঠছে।
তাই নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই তাদের ‘ফেক নিউজ নেটওয়ার্ক’ বলে উল্লেখ করে আসছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি টুইটারে তাতে একটু বদল আনার কথা ঘোষণা করেন তিনি। সিএনএনকে ‘ফ্রড নিউজ নেটওয়ার্ক’ বলার পক্ষে তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের ওপর ট্রাম্পের এমন আক্রমণ এই প্রথম নয়। তাকে নিয়ে মস্করা করায় গত সপ্তাহেই এমএসএনবিসির দুই সঞ্চালক জো স্কারবরো এবং মিকা ব্রিজেনস্কিকে টুইটারে কুকথা শুনিয়ে ছেড়েছিলেন। তাদের মূর্খ, পাগল বলে উল্লেখ করেছিলেন। মিকাকে আক্রমণ করতে ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন। সেই নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি।
এই ঘটনায় রিপাবলিকান সেনেটররাও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দু’কথা শুনিয়ে ছেড়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহার জানেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন তারা। সমালোকদের জবাব দিতে দেরি করেননি ট্রাম্প। শনিবার টুইটারে লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট নয়, আধুনিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করি। যুক্তরাষ্ট্রকে ফের শ্রেষ্ঠ করে তুলুন।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট করা ভিডিও থেকে সংগৃহীত।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১