সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড ও ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের হামলায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হবে কিনা তা নির্ধারণে তদন্ত শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার এইচআরডব্লিউর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদির আটক নাগরিকদের নির্যাতন, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড ও ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের হামলার মতো যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতা জানতে তদন্ত করা হবে। চলতি সপ্তাহের শেষদিকে আর্জেন্টিনায় জি-২০ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজের অংশগ্রহণের ঠিক আগ মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের তদন্ত শুরু করা হলো।
এইচআরডব্লিউ নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, মোহাম্মদ বিন সালমানের জানা উচিত যে যদি তিনি আর্জেন্টিনা পা রাখেন তাহলে ফৌজদারি তদন্তের মুখোমুখি হতে পারেন। তবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিন সালমানকে গ্রেফতার করার সম্ভাবনা ‘একদমই নেই’।
এমন এক সময় সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলো বুয়েন্স আয়ার্স যখন সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে ভূমিকার জন্য তিনি ব্যাপক চাপে রয়েছেন।
আর্জেন্টিনার আইন অনুযায়ী, দেশটির বাইরে সংঘটিত কোনও অপরাধের বিচার করার বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার বাইরে অন্য কোনও স্বাধীন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিপীড়নের মতো বিষয় ঘটলে সেটি বিচার করতে পারে আর্জেন্টিনা। মূলত ১৯৭০ ও ১৯৮০-র দশকে আর্জেন্টিনায় সেনা শাসনের সময় হাজার হাজার আর্জেন্টাইন নিখোঁজ হওয়ার পর দেশটি তাদের আইনে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ সালে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট হামলা শুরু করার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন