১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২০:১৩

মধ্যপ্রাচ্যের তেল নেওয়ার বিপক্ষে ট্রাম্প, বিশেষজ্ঞদের ভিন্নমত

অনলাইন ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্যের তেল নেওয়ার বিপক্ষে ট্রাম্প, বিশেষজ্ঞদের ভিন্নমত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে তার দেশের জন্য তেল নেয়ার প্রয়োজন নেই। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, আমেরিকা এখন তেল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা তার এই বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি বলে উল্লেখ করেছেন।

শনিবার সৌদি আরবের আরামকো তেল কোম্পানির উপর ইয়েমেনের ড্রোন হামলায় তেলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার পর গতকাল সোমবার ট্রাম্প টুইটারে ব্যস্ত সময় কাটান। তিনি সেখানে এক এক পোস্টে বলেছেন, আমেরিকাকে তিনি বিশ্বের এক নম্বর তেল উৎপাদনকারী দেশে পরিণত করেছেন। তিনি দাবি করেন, সৌদি আরবের আরামকো তেল স্থাপনার উপর ভয়াবহ হামলার পরও আমেরিকার জন্য তেমন কোনো সমস্যা হবে না।

এর কারণ হিসেবে ট্রাম্প বলেছেন যে, গত কয়েক বছর ধরে তিনি আমেরিকার জন্য বিরাট তেলের ভাণ্ডার গড়ে তুলেছেন এবং এখন তার দেশ তেল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। ফলে আমেরিকার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন নেই। তবে মিত্রদেরকে তিনি সাহায্য করবেন বলে ওই টুইটার পোস্টে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

ট্রাম্পের এই দাবি আমেরিকার সরকারি নথিপত্রের সঙ্গে মিলছে না। এসব নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে গত এক দশক আগে যদিও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে আমেরিকা একটি বড় তেল উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে তারপরেও ২০১৯ সালে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে আমেরিকা বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল এবং তেলজাত পণ্য আমদানি করেছে।

মার্কিন সরকারি তথ্য অনুসারে, গত বছর আমেরিকা প্রতিদিন বিশ্বের ৮৬টি দেশ থেকে ৯৯ লাখ ৩০হাজার ব্যারেল তেলজাত পণ্য আমদানী করেছে যার মধ্যে শতকরা ৭৮ ভাগ অপরিশোধিত তেল। মজার ব্যাপার হচ্ছে- আমেরিকা যে তেল আমদানি করে থাকে তার দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে সৌদি আরব। দেশটি প্রতিদিন আমেরিকার কাছে নয় লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে থাকে।

আমেরিকায় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে কানাডা সবার উপরে রয়েছে। এ দেশটি প্রতিদিন ৪২ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল তেল আমেরিকায় রপ্তানি করে থাকে। আমেরিকা প্রতিদিন এক কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে তবে দেশটির প্রতিদিন তেলের চাহিদা রয়েছে দুই কোটি ব্যারেল। সূত্র : পার্সটুডে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর