আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)-এর কর্ণধার ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেছেন, ২০১৯ সালে প্রবৃদ্ধি ধীরগতির সম্ভাবনা বিশ্বের ৯০ শতাংশ এলাকাতেই। প্রায় থমকে গিয়েছে বাণিজ্য। আমেরিকা, জাপান, ইউরোপ, চীন— আর্থিক কর্মকাণ্ড কমছে প্রায় সর্বত্র। বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে ভারত ও ব্রাজিলের মতো উন্নয়নশীল দেশে।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসি তিনি এসব কথা বলেন। ভারতে প্রবৃদ্ধি ধাক্কা খেয়েছে, তা সরকারি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। সম্প্রতি প্রকাশিত ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যানে বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৫ শতাংশে। বেশ কিছু দিন ধরেই তা লাগাতার নিম্নমুখী। চাহিদায় ভাটা। খরা লগ্নিতে। নতুন কাজের সুযোগ সে ভাবে তৈরি হওয়া তো দূরের কথা, বরং শুধু গাড়ি শিল্পেই চাকরি হারিয়েন কয়েক লাখ কর্মী। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, গাড়ি থেকে বিস্কুট- বিক্রি তলানিতে বহু পণ্যেরই।
এমনকি যে উৎসবের মৌসুমে নিজেদের সারা বছরের বিক্রির প্রায় ৭০% সেরে ফেলে অধিকাংশ ভোগ্যপণ্য সংস্থা, সেই ‘সেরা সময়েও’ চাহিদা চাঙ্গা হওয়ার তেমন লক্ষণ নেই। বেকারত্বের হার বাড়ছে। তুলনায় অনেক কম বেতনের চাকরি পেতেও মরিয়া হয়ে আবেদন করছেন এমবিএ, পিএইচডি, ইঞ্জিনিয়ার, মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরা। কিন্তু এত সব কিছুর পরেও অর্থনীতির হাল যে সুবিধার নয়, খোলাখুলি ভাবে যেন তা স্বীকার করতে চাইছে না ভারতের কেন্দ্র সরকার।
এমনিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হালে একের পর এক ঘোষণা করেছে দিল্লি। কর ছাঁটাইয়ের বিপুল সুবিধা দিয়েছে কর্পোরেটকে। কমানো হয়েছে বিভিন্ন পণ্য-পরিষেবায় জিএসটির হার। কিন্তু এই সমস্ত কিছুর পরেও অর্থনীতির হাল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মোটের উপরে তা ঠিক আছে বলেই দাবি করে চলেছে কেন্দ্র সরকার।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা