মার্কিন সংসদের উচ্চ কক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সংসদীয় বিচারের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন।
হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভের নিয়ন্ত্রণ বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হাতে।
হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটির প্রধান জেরি ন্যাডলার এবিষয়ে আইনের যে দুটি ধারা প্রকাশ করেছেন তার প্রথমটিতে মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের এবং দ্বিতীয়টিতে তার বিরুদ্ধে সংসদের কাজে বাধা দানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্বার্থে মি. ট্রাম্প ইউক্রেইনকে দেয়া অর্থ সাহায্য স্থগিত করেছিলেন।
তবে মি. ট্রাম্প বরাবরই এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে আসছেন, এবং তার বিচারের এই পুরো প্রক্রিয়াকে 'পাগলামি' বলে বর্ণনা করেছেন।
জুডিশিয়ারি কমিটি যদি এই দুটি ধারা অনুমোদন করে তাহলে সেটি হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভে পূর্ণাঙ্গ ভোটের জন্য তোলা হবে।
আর সেখানে সেটি পাশ হলে আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত সিনেটে সংসদীয় বিচার শুরু হবে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অভিযোগ করেন যে অর্থ সাহায্য স্থগিত রাখার প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি টেলিফোন সংলাপ তিনি নিজে শুনেছেন।
বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন সোপেল বলছেন, এটা যে হবে তা বোঝাই যাচ্ছিল। কয়েকমাস ধরেই তিনি এ নিয়ে খবর পাঠাচ্ছিলেন।
"তার পরও জুডিশিয়ারি কমিটির সভাপতি যখন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বড় মাপের অপরাধ এবং বিধিবহির্ভূত কাজের অভিযোগ করেন তখন আমার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়।"
হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভ যদি প্রেসিডেন্টের বিচারের পক্ষে ভোট দেয় তাহলে মি. ট্রাম্প দু'জন সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন (১৮৬৮) এবং বিল ক্লিনটনের (১৯৯৮) কাতারে গিয়ে দাঁড়াবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে শুধু এই তিনজন প্রেসিডেন্টের বিচার প্রক্রিয়া এভাবে শুরু হয়েছিল।
কিন্তু এসবই ইতিহাস। জন সোপেল বলছেন, প্রশ্ন হলো এর পর কী ঘটতে যাচ্ছে?
এই প্রক্রিয়া কি মি. ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের আশাকে ধূলিসাৎ করবে, নাকি মার্কিন ভোটাররা একে তাদের প্রেসিডেন্টের ওপর হামলা প্রচেষ্টা হিসেবে দেখবে? সূত্র : বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত