যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে দুর্বল ও বিভক্ত দেখতে চায় পাকিস্তান। এজন্য দেশটি আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার অব পলিটিকাল অ্যান্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্স-এর সভাপতি ফ্যাবিয়েন বাউসার্ট।
টাইমস অব ইসরায়েল প্রকাশিত তার এক সম্পাদকীয় কলামে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেছেন। সেখানে তিনি আরও উল্লেখ করেন, পাকিস্তান ভূ-রাজনৈতিক লাভের আশায় যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে ব্যবহার করতে চায়। এ জন্য দেশটি এখনো তালেবান গোষ্ঠী এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী দলকে তাদের মাটি ব্যবহার করতে দিচ্ছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে আফগান সরকার বেশ চিন্তিত।
জাতিসংঘে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত গোলাম ইসাকজাই গত শুক্রবার বলেছেন, পাকিস্তান তালেবান সদস্য নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করছে- এমন প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে উপস্থাপন করতে আফগান সরকার প্রস্তুত রয়েছে।
বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের পরে আফগানিস্তানে তালেবান সদস্যরা হামলা জোরদার করেছে। তারা আফগান সরকারি বাহিনী ও সাধারণ মানুষদের ওপরে সহিংসতা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যেই তালেবান যোদ্ধারা দেশটির পাঁচটি প্রাদেশিক রাজধানীসহ বেশ কিছু অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
আফগান কর্তৃপক্ষ বলছে, তালেবানের অগ্রযাত্রায় পাকিস্তান সরাসরি সহায়তা করছে। পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) তালেবান সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দাবি করেছেন, গত মাসে পাকিস্তান থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার তালেবান যোদ্ধা তার দেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, ইমরান খানের সরকার শান্তি আলোচনায় তালেবানকে আশ্বস্ত করতে পারেনি।
তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তার দেশ তালেবানের এই সহিংসতার জন্য দায়ী নয়। তালেবান কি করল বা কি করল না তার সাথে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক নেই। সূত্র: এএনআই
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর