তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরে পাকিস্তান সমর্থিত ও প্রশিক্ষিত ‘জিহাদী’ সন্ত্রাসীরা এখন কাশ্মীরের দিকে নজর দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (ইএফএসএএস)।
জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৮তম সভায় ইএফএসএএস-এর পরিচালক জুনাইদ কুরেশি আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং কাশ্মীরে তার প্রভাব সম্পর্কে কাউন্সিলের মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান ছেড়ে গেলে অনেক ইসলামী যোদ্ধা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্য থেকে কিছু যোদ্ধা কাশ্মীরেও যান। আর এ ঘটনার ৩২ বছর পরে আবারও তারা বিশ্বের আরেকটি পরাশক্তি সম্পন্ন দেশকে আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য করেছে।
জুনাইদ কুরেশি আরও বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানের শক্তিশালী জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জিহাদীদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে কাশ্মীরে পাঠিয়েছিল। আবারও তারা কাশ্মীরে ফিরে আসছে আমাদের ধ্বংস করতে। ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তান এই অঞ্চলে যে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে তার প্রেক্ষিতে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের আশঙ্কা, দেশটি আবারও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করবে এবং কাশ্মীরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে সন্ত্রাসীদের সহায়তা করবে।’
ইএফএসএএস-এর পরিচালক জুনাইদ আরও বলেন, কাশ্মীরের জনগণ আফগানিস্তানের পক্ষে থাকলেও তারা তালেবান এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। তাই তিনি কাশ্মীরে পাকিস্তানের এই অপতৎপরতা বন্ধে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর