ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্নেক আইল্যান্ড নামের দ্বীপটি ছেড়ে গেছে দেশটিতে হামলা চালানো রুশ বাহিনী। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে তারা কৃষ্ণসাগরের বুকে স্নেক আইল্যান্ড নামে যে ক্ষুদ্র দ্বীপটি দখল করে নিয়েছিল- সেটি থেকে তারা রুশ সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
দ্বীপটির ওপর ইউক্রেনের প্রচণ্ড আক্রমণের পর রাশিয়া এ কথা জানায়।
স্নেক আইল্যান্ড কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ
ব্রিটিশ বিবিসির সংবাদদাতা ক্রিস প্যাট্রিজ বলছেন, “শুভেচ্ছাসূচক” পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়ার স্নেক আইল্যান্ড থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার যে দাবি করেছে- তা অনেকের কাছেই অত্যন্ত বিস্ময়কর মনে হবে।
কৃষ্ণসাগরের বুকে এই দ্বীপটি আয়তনে মাত্র এক বর্গকিলোমিটারের মত। এর নাম যাই হোক- এতে কোনও সাপ নেই, এবং চোখে পড়ার মত উল্লেখযোগ্য কোনও বৈশিষ্ট্যও নেই।
ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই এই স্নেক আইল্যান্ডকে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু কৃষ্ণসাগরের পশ্চিম অংশটি কে নিয়ন্ত্রণ করবে- তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ছোট্ট এই পাথুরে দ্বীপটির কৌশলগত মূল্য অনেক।
গত মে মাসে ইউক্রেনের সামরিক বিশেষজ্ঞ ওলেহ ঝদানভ বলেছিলেন, “রাশিয়ার সৈন্যরা যদি এ দ্বীপটি দখলে রাখতে পারে এবং তাদের দূরপাল্লার বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করতে পারে- তাহলে কৃষ্ণসাগরের উত্তর-পশ্চিমাংশ এবং দক্ষিণ ইউক্রেনেরও সমুদ্র, স্থলভাগ ও আকাশের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে রাশিয়ার হাতেই।”
রাশিয়া এ দ্বীপটি দখল করার পর সেখানে সৈন্য, কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল ঠিকই। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ক্রমাগত হামলার কারণে মস্কোর জন্য দ্বীপটির ওপর দখল কায়েম রাখা ক্রমশঃ কঠিন হয়ে পড়ছিল।
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের জাস্টিন ব্রংক বলছেন, “স্নেক আইল্যান্ড এত ছোট একটি দ্বীপ এবং এখানে এমন কোনও আড়াল জায়গা নেই যেখানে যুদ্ধসরঞ্জাম লুকিয়ে রাখা যায়। সে কারণে রাশিয়ার জন্য এটা ছিল এমন একটি সামরিক অবস্থান - যা ধরে রাখা খুবই কঠিন।” সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/কালাম