প্রায় একবছর আগে কিউবায় করোনাভাইরাস ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ একটি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এই বিক্ষোভ দমনে দেশটির ২৮ কর্মকর্তা নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন করেন। এই অভিযোগে গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির ২৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির উচ্চপদস্থ সদস্য এবং দেশটির রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ ও গণমাধ্যম খাতে কর্মরত কর্মকর্তা। এসব ব্যক্তিরা গত ১১ জুলাই, ২০২১ বিক্ষোভের সাথে জড়িত শত শত লোককে অন্যায়ভাবে আটক এবং তাদের প্রতি সহিংস আচরণ, প্রহসনমূলক বিচার এবং দশকের পর দশক ধরে কারাদণ্ড দেয়ার সাথে জড়িত থাকার জন্য অভিযুক্ত। গত কয়েক দশকের মধ্যে এটি ছিল কমিউনিস্ট পরিচালিত দ্বীপরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।
কিউবার সরকার তার জনগণকে নিজেদের মধ্যে এবং বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে ‘ইন্টারনেট থ্রটলিং’ও ব্যবহার করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কর্মকর্তারা ১১ জুলাই, ২০২১ তারিখে কারারুদ্ধ বিক্ষোভকারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, বিশেষ করে যারা তাদের প্রিয়জনদের মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন।’
উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট রিগ্যান যুগের একটি নীতির অধীনে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যা কিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী নয় এমন কিউবান সরকারি কর্মী এবং কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তাদের প্রবেশ স্থগিত করে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা/রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর