নিজের বিতর্কিত এক বক্তব্য ঘিরে সমালোচনার মুখে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেকসি আরেস্তোভিচ।
গত শনিবার ইউক্রেনের দনিপ্রো এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। এতে অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর আরেস্তোভিচ বলেছিলেন, ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ভূপাতিত করার পরই এটি ওই ভবনের ওপর পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।
অবশ্য ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ পরে বলেছে, রাশিয়ার তৈরি কেএইচ-২২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভবনটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার সক্ষমতা তাদের নেই।
আরেস্তোভিচের বক্তব্যকে ব্যবহার করে রুশ কর্মকর্তারাও ওই হামলার জন্য কিয়েভকে দায়ী করছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আবাসিক ভবনে রাশিয়া হামলা চালায় না। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কারণেই এমনটা হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী ভূপাতিত করেছে বলার পর ইউক্রেনীয়দের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পড়েছেন আরেস্তোভিচ। কেউ কেউ বলছেন, এ কর্মকর্তা রুশ প্রচারণাকারীদের অবস্থানকে জোরালো করেছেন। আবার ইউক্রেনের পার্লামেন্ট সদস্যরা একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করে আরেস্তোভিচকে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বরখাস্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
আরেস্তোভিচ তার বিবৃতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এক টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছেন—হতাহত ব্যক্তিদের স্বজন, দনিপ্রোর বাসিন্দাসহ যারা আবাসিক ভবনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সম্পর্কে আমার করা ভুল মন্তব্যটি নিয়ে দুঃখ পেয়েছেন, তাদের সবার কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। পরে নিজের পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানিয়ে
আরেস্তোভিচের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কি এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল