মার্কিন রাজনীতির দৃষ্টি এখন কেন্দ্রীভূত কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আসন্ন বিতর্কের দিকে। বিতর্কের নিয়মাবলী নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর, অবশেষে আমেরিকার বিখ্যাত সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই প্রার্থীই এবিসির নিয়মাবলী মেনে সম্মতি দিয়েছেন। তবে বিতর্কটি হবে দর্শকবিহীন।
এই বিতর্কের সঞ্চালক হিসেবে থাকবেন ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস। বিতর্কটি চলবে ৯০ মিনিট ধরে, মাঝখানে দুটি বিজ্ঞাপন বিরতি রাখা হবে। এক প্রার্থী যখন কথা বলবেন, অপর প্রার্থীর মাইক বন্ধ রাখা হবে, যাতে প্রতিপক্ষের বক্তব্যে হস্তক্ষেপ না হয়। সঞ্চালকরাই প্রশ্ন করবেন, আর কোনো প্রশ্ন প্রার্থীদের আগাম জানানো হবে না।
প্রত্যেক প্রার্থী তাদের উত্তর দেওয়ার জন্য পাবেন দুই মিনিট করে। এরপর প্রতিপক্ষের যুক্তি খণ্ডনের সুযোগও থাকবে, যার জন্য আরও দুই মিনিট সময় দেওয়া হবে। পাশাপাশি, স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন হলে এক মিনিট অতিরিক্ত সময় পাওয়া যাবে। বিতর্কের শেষে, প্রার্থীরা দুই মিনিটের সমাপনী বক্তব্য রাখার সুযোগ পাবেন।বিতর্কের শুরুতে, ভার্চুয়াল টসের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রথমে কমলা হ্যারিস বক্তব্য দেবেন। দুজনই পুরো বিতর্কের সময় মঞ্চে পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে থাকবেন। তাদেরকে কলম ও কাগজ ব্যবহার করার সুযোগ থাকলেও, চিরকুট বা নোট রাখতে পারবেন না। এছাড়া বিজ্ঞাপন বিরতির সময় প্রচারণা শিবিরের কারও সঙ্গে কথা বলার সুযোগ থাকবে না।
এর আগে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে লজ্জাজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হন, যার পর বাইডেন প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। এই সুযোগে ডেমোক্রেটরা কমলা হ্যারিসকে তাদের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন। কমলা হ্যারিস ইতিহাসের প্রথম নারী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও জাতীয় জরিপে কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, তবুও ট্রাম্প বারবার তাকে খাটো করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প বিতর্কে তার স্বভাবসিদ্ধ আক্রমণাত্মক কৌশল অনুসরণ করবেন। তার বয়স (৭৮ বছর) এবং হ্যারিসের উদ্যম তাকে কঠিন অবস্থায় ফেলেছে। বিশেষজ্ঞ এ্যারিন ক্রিস্টি বলেছেন, এ ধরনের ভিন্নমুখী দুই প্রার্থীর মধ্যে বিতর্ক এর আগে কখনো দেখা যায়নি, তাই এবারের বিতর্কটি হবে অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ ও ফলাফলের নির্ধারক।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল