ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সম্প্রতি একটি তত্ত্ব প্রস্তাব করেছেন যা ব্যাখ্যা করে কেন ভয় লাগার পরও অনেকে হঠাৎ করে হাসতে শুরু করেন। গবেষক মার্ক হাই-কনুডসেনের নেতৃত্বে এই গবেষণায় দেখানো হয়েছে, আতঙ্কের একটি বিশেষ মাত্রায় পৌঁছানোর পর সেটি মজার বা নিরাপদ বলে মনে হওয়ায় মানুষ হাসিতে ফেটে পড়তে পারেন।
এই তত্ত্ব অনুসারে, ভয় পাওয়ার পরের হাসি আসলে মনের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া যা ক্ষতিকর কিছু না হলে ঘটে।
এ বিষয়ে গবেষণায় বলা হয়, ভয়ের অনুভূতি এবং মজার অনুভূতির একটি ‘মধ্যম’ পর্যায় রয়েছে, যেখানে ভয় ও কৌতুক একসাথে কাজ করে। আর এই পর্যায়টি শিশুসুলভ খেলাগুলোতে যেমন ‘পিকাবু’ কিংবা হন্টেড হাউসগুলোতে সহজে বোঝা যায়। গবেষক হাই-কনুডসেন বলেন, হন্টেড হাউস বা হরর সিনেমায় ইচ্ছাকৃতভাবে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে দর্শকদের এমন এক স্তরে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে আতঙ্কের প্রতিক্রিয়া প্রবল হয় এবং পরক্ষণেই তারা বিষয়টিকে নিরাপদ বলে মেনে নিতে পারেন।
তবে, কৌতুককে শুধুমাত্র অপ্রত্যাশিত ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করা যায় না, কারণ সব অপ্রত্যাশিত ঘটনাই মজার নয়। অনেক বিস্ময়কর ঘটনাও মানুষকে হাসায় না। এ কারণেই জাম্প স্কেয়ার বা হরর থিমগুলোর মাধ্যমে আতঙ্ক এবং কৌতুকের মিশ্রণ তৈরি করা হয়, যা নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছানোর পর ভয়কে হাসিতে রূপান্তরিত করে।
এ বিষয়ে গবেষকরা মনে করেন, অন্যকে ভয় দেখানোর মাধ্যমে মজার সৃষ্টি করতে হলে সেই ঘটনার সামাজিক সংযোগ থাকা দরকার। অপরিচিত কেউ ভয় পেলেও আমরা ততটা হাসি না, কিন্তু কাছের কেউ ভয় পেলে তাতে অনেকটা বেশি হাসির উদ্রেক হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল