শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
দুই বছরে বিদেশি সাহায্য সংস্থার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও সংসদীয় কমিটি চান নিজস্ব অর্থায়নে গ্যাসের মিটার স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও সংসদীয় কমিটি চায় নিজস্ব অর্থায়নে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপন করতে কিন্তু মন্ত্রণালয় বৈদেশিক সাহায্যের পেছনে ঘুরে এরই মধ্যে দুই বছর কাটিয়ে দিয়েছে। আবারও নতুন করে ইআরডিতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। ফলে কবে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপন কাজ শেষ হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে খোদ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদীয় কমিটিতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ইতিপূর্বে দুই বছরের মধ্যে ২০ লাখ মিটার স্থাপনের সময় দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত এর কোনো অগ্রগতি নেই। ইআরডি বা বৈদেশিক সাহায্য না-ও পাওয়া যেতে পারে। ইতিমধ্যে অনেক সময় চলে গেছে। কোন সালে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কাজ শেষ হবে তা বোধগম্য নয়। এ নিয়ে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রতিটি সংস্থার কাছেই প্রচুর অর্থ আছে। তাই নিজস্ব অর্থায়নেই মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নিলে খুব অল্প সময়ে মিটার স্থাপন সম্ভব হবে।’ এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে সমর্থন করে কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ‘গ্যাস সেক্টরে প্রতিটি কোম্পানিরই প্রচুর অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সাহায্য সংস্থার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই সময় ক্ষেপণ না করে নিজস্ব অর্থায়নে মিটার স্থাপন করতে হবে।’ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বৈঠকে জানান, দেশে ২৮ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের ১৬টি প্রকল্প অনুমোদনে অর্থসংস্থানের জন্য ইআরডিতে পাঠানো হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত ‘বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২১তম বৈঠকে উপস্থাপিত কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আসলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, দেশে ৪২ লাখ ৩১ আবাসিক গ্রাহকের মধ্যে ২ লাখ ৭৩ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থান করা হয়েছে। ২৮ লাখ মিটার স্থাপনের ১৬টি প্রকল্প অনুমোদনে অর্থসংস্থানের জন্য ইআরডিতে পাঠানো হয়েছে। প্রিপেইড মিটারসহ গ্যাসের লাইন অটোমেশনে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ২০২৩ সালে অবৈধ সংযোগ খুব দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। চট্টগ্রামে প্রায় শতভাগ গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বৈঠকে আরও জানানো হয়, ২০০২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গত ১৯ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে গ্যাসের বকেয়া পড়েছে ৯ হাজার ২১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর