আগের দিনই অফিসের প্রায় সব কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সকাল সকাল হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকতে। শুধু কর্পোরেট অফিসের কর্মচারীদেরই নয়, বিসিবির পরিচালক ও বিভিন্ন কমিটি, সাব-কমিটির কর্মকর্তাদেরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল শীতের সকালে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের কর্ণধারকে ফুলেল শুভেচ্ছায় গ্রহণ করতে হবে-এ জন্যই এমন নিদের্শনা। উপেক্ষা করতে পারেননি কেউ। মাঘের শীতের কুয়াশাকে উপেক্ষা করে সবাই উপস্থিত হন বিমানবন্দরে। বিসিবি সভাপতি যখন বিমান থেকে নামেন এবং মিডিয়ার মুখোমুখি হন, তখন হুলুস্থূল বেধে যায় উপস্থিতজনদের মধ্যে। কে কাকে ডিঙিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করবেন। কে কত কাছে দাঁড়িয়ে ছবি তুলবেন, সেসব নিয়েও প্রতিযোগিতা লেগে যায় পরিচালকদের মধ্যে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, তা দেখে অনেকে মুখ টিপে হেসেছেন। তবে এটা সত্যি যে, দুবাই থেকে বিসিবি সভাপতি অনেক বড় এক জয় নিয়েই গতকাল ফিরেছেন দেশে। এমন প্রাপ্তিতে সাধুবাদ পেতেই পারেন বিসিবি সভাপতি। তাই বলে এমন! সকালে দেশে ফেরার পর মধ্যাহ্নে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি মুখোমুখি হন মিডিয়ার। সেখানে তিনি দুবাইয়ে আইসিসি সভা থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তির কথা জানান। কিন্তু উষ্মা প্রকাশ করেন দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ক্রিকেট নিয়ে মিডিয়ার আচরণে।
২৮ ও ২৯ জানুয়ারি আইসিসির দুদিনব্যাপী সভায় অনেক প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতে করে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু তারচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে। দ্বি-স্তরবিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেট প্রস্তাব পাস হলে টেস্ট খেলাই প্রায় বন্ধ হয়ে যেত বাংলাদেশের। সেই শঙ্কাটা দূরীভূত হয়েছে। এখন আরও বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান বিসিবি সভাপতি, '২০২০ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা ভারতের টেস্ট খেলার কোনো শিডিউল ছিল না। এখন এসব দেশে টেস্ট খেলতে পারব। তারা আমাদের কাছে সময় চেয়েছে কখন আমরা তাদের দেশে যাব। আমরা গত ১৪ বছরে ভারতে খেলতে পারিনি। এবার খেলব।' ইতোমধ্যেই ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশকে ই-মেইল করে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তাদের দেশে খেলতে যেতে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরে আইসিসির সভা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন দেশের মধ্যে চুক্তি হবে। এই চুক্তির ফলে শেষ হয়ে যাবে এফটিপি। সেখানে জায়গা পাবে বাইলেটারাল বিষয়। এতে করে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ফলে সিরিজ খেলবে একে অপরের বিপক্ষে।