ঢাকায় প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়া টাইগাররা চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। পয়মন্ত ভেন্যুতে শেষ টেস্ট জিতে সিরিজে রক্ষার পাশাপাশি জয়ের ধারায়ও ফিরতে উম্মুখ হয়ে আছে মুশফিক বাহিনী। চট্টগ্রাম জয়ের ধারায় ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলেন, 'এখন কামবেক করাটাই জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতীতেও বড় পরাজয়ের পর সিরিজে ভালোভাবে কামবেক করেছে বাংলাদেশ। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আশা করছি এবারও ভালোভাবে কামবেক করব। চট্টগ্রাম টেস্টে কামবেক করে জয়ের ধারায় ফিরব।'
প্রথম টেস্টে ব্যাটিং উইকেট পেয়েও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারিনি তামিম-সাকিবরা। ব্যাটম্যানদের পাশাপাশি বোলিং এবং ফিল্ডিং বিভাগেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে মুশফিক বাহিনী। দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে আগে পরিকল্পনা নিয়ে সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, 'বোলিং, ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংসহ সব বিভাগে উন্নতির জন্য প্রত্যেকে কঠোর পরিশ্রম করছে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে বিশেষ করে ফিল্ডিংকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।' গত ম্যাচের ব্যর্থতার জন্য মিস ফিল্ডিংকে দায়ী করে সাকিব বলেন, 'প্রথম টেস্টে বেশকিছু ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিং মিস হয়েছে। শ্রীলঙ্কা দলের যারা বড় স্কোর করেছে, তারা প্রত্যেকেই একাধিক লাইফ পেয়েছেন। ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিং মিস না হলে প্রথম ইনিংসে ৪৫০ ওপরে রান করতে পারত না। কিন্তু বড় স্কোর হওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার আগে দুই দিন ব্যাটিং করতে হবে এ রকম একটি চিন্তা ছিল খেলোয়াড়দের। তাতে খেলোয়াড়দের ওপর একটা মানসিক চাপ পড়েছে। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ৭০০'র অধিক রান করতে না পারলে প্রথম টেস্টের ফলাফল অন্যরকম হতো।' প্রথম টেস্ট ২৩২ ও ২৫০ রানে অল-আউট ব্যাটিংয়ের চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে টাইগার ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার পেস বোলারদের শর্ট বোলিংয়ের কাছে অসহায় ছিল তারা। এ নিয়ে সাকিব বলেন, 'শ্রীলঙ্কা শর্ট বলে কাবু করার পরিকল্পনা ছিল তা আমাদের ধারণা ছিল না। ওই পরিকল্পনায় তারা সফল। এ দুর্বলতা কাটাতে কঠোর পরিশ্রম করছি। ' বড় পরাজয়ের পর খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে সাকিব বলেন, 'বড় পরাজয়ের পর সবার মন খারাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা পেশাদার বলে ওই পরিস্থিতি ওভারকাম করে স্বাভাবিক হয়ে গেছি। ওই পরাজয়ের কথা ভুলে এখন দ্বিতীয় টেস্টের জন্য সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছি।' সাকিব মনে করেন, টানা দেড়-দুই বছর ভালো ক্রিকেট খেলার পর একটি ম্যাচে বাজে খেলতেই পারে কোনো দল। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার কাছে। মিরপুর টেস্টে মুশফিকুর রহিমের চারটি ক্যাচ ছাড়ার ব্যাপারে সাকিব জানান, মুশফিক ভাই কিপিংয়ে উন্নতি করছে। উনি নিজেই বলেছেন, শেষ কবে এমন কিপিং করছেন তা উনার মনেই নেই। একটা বাজে দিন সবারই আসতে পারে। আশা করি এটা আর হবে না।