শহুরে মানুষের শারীরিক পরিশ্রমের চেয়ে মানসিক এবং মস্তিষ্কের পরিশ্রম অনেক বেশি হয়। সেই তুলনায় গ্রামের মানুষের জন্য উল্টোটাই সত্যি। এ কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রামের মানুষেরা শহুরে মানুষের চেয়ে বেশি ভালো থাকে। অন্তত সুস্থতার দিক থেকে। এর প্রধান কারণই হচ্ছে কঠোর পরিশ্রম। গ্রামের একজন কৃষক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষিকাজে কঠোর পরিশ্রম করেন। ব্যায়ামের কাজ এখানেই হয়ে যায় তার। কিন্তু অফিসের এসিতে বসে মস্তিষ্কের পরিশ্রম করা শহুরে মানুষদের ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। যারা নিয়মিত অফিস করেন এবং ব্যায়ামের সময় পান না তাদের শরীরে সমস্যার শেষ নেই। বিশেষ করে কোমর, কাঁধ কিংবা মেরুদণ্ডের ব্যথায় অস্থির হয়ে উঠেন অনেকেই। কাঁধ এবং মেরুদণ্ডের ব্যথা থেকে বাঁচতে অফসেট প্রেস-আপ একটি কার্যকরী ব্যায়াম।
অফসেট প্রেস-আপ ব্যায়ামের জন্য প্রথমেই প্রেস-আপের পজিশনে যেতে হবে। অর্থাৎ পায়ের পাতা ও হাতের ওপর শরীরের সব ভর চাপাতে হবে। গোড়ালি থেকে কাঁধ পর্যন্ত রাখতে হবে সোজা। মাটিতে রাখা দুই হাতের মাঝখানে সুবিধাজনক দূরত্ব রাখতে হবে। এবার প্রেস-আপের মতো করেই শরীরকে নিচে নামিয়ে আনতে হবে এমনভাবে যেন উদর এবং মাটির মধ্যে দূরত্ব না থাকে। শরীর সবসময়ই সোজা রাখতে হবে। এভাবে যতবার সম্ভব ততবার অফসেট প্রেস-আপ করতে হবে। প্রথম দিকে কষ্ট হলেও ধীরে ধীরে অনেকবার অফসেট প্রেস-আপ ব্যায়াম করা সম্ভব হবে। অফসেট প্রেস-আপ ব্যায়াম করার সময় প্রথম দিকে দুই পায়ের মাঝখানে ফাঁক রাখলেও ধীরে ধীরে ফাঁক কমিয়ে শূন্যের কোটায় আনতে হবে। তবেই অফসেট ব্যায়াম পূর্ণ হবে।
অফসেট ব্যায়ামে কাঁধ, মেরুদণ্ড, গোড়ালি, কোমর এবং হাত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এ অঙ্গগুলোতে প্রচণ্ড চাপ পড়ে এই ব্যায়ামের সময়। এর ফলে গোড়ালি, হাঁটু, কব্জি ও কাঁধের জয়েন্টগুলো সুস্থ ও সতেজ থাকে। এ ছাড়া পেটের মেদও বাড়তে পারে না। অফসেট প্রেস-আপ খুবই সহজ এবং কার্যকরী একটি ব্যায়াম। ইচ্ছা করলে এই ব্যায়াম নিজের ঘরেই করা সম্ভব। তবে এই ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই ওয়ার্ম-আপ করতে হবে। শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টগুলোর জড়তা কাটিয়ে নিতে হবে। না হলে ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় রয়েছে। এ ছাড়া অফসেট প্রেস-আপ ব্যায়াম করার সময় শরীরের ভারসাম্যও রক্ষা করতে হবে।