ঘুরে ফিরে সেই একই দৃশ্য। হাইভোল্টেজ ম্যাচ অথচ গ্যালারি ফাঁকা। ফুটবলে এ চেহারা কবে যে দূর হবে বলা মুশকিল। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পেশাদার ফুটবল লিগে ঢাকা আবাহনী ও শেখ রাসেল মুখোমুখি হয়েছিল। গতবার লিগসহ তিন ট্রফি ঘরে তুললেও এবারে যে হাল তাতে রাসেলের পক্ষে শিরোপা জেতাটা কঠিনই বলা যায়। অন্যদিকে আবাহনী ভালোই অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু তাতে কি বড় দল বলে তাদের ম্যাচে দর্শক থাকবে না। না, বড় কিংবা ছোট ফুটবলপ্রেমীরা গ্যালারিতে আসার আগ্রহ অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছেন। আসলে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে যেখানে গ্যালারি ফাঁকা থাকে সেখানে অন্য ম্যাচে দর্শক হবে না এটাইতো স্বাভাবিক। ফুটবলের মান নেই তাই এ অবস্থা বলে অনেকে যুক্তি দেখাচ্ছেন। এ যুক্তি অবশ্যই অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু ফেডারেশনের কর্মকর্তারা এখানে দায় এড়াতে পারবেন না। তারা ভালোমতো জানেন বর্তমানে দেশের ফুটবলে কি অবস্থা। তারপর আবার প্রতিদিন টিভিতে ইউরোপিয়ান লিগের উন্নতমানের খেলা দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা। ভারতেও দর্শক খরা চলছে। কিন্তু তারা হা হুতাশ করে বসে নেই। মাঠে যাতে দর্শক আনা যায় সে লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। বড় ম্যাচ দেখতে একমাস আগে থেকেই প্রচার চালানো হচ্ছে।
যাক দর্শক না হোক আবাহনী ও শেখ রাসেলের কাছে ম্যাচের গুরুত্ব ছিল অনেক। প্রথম পর্বে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে আবাহনীর যেমন জয় জরুরি ছিল। তেমনি ঘুরে দাঁড়াতে পুরো পয়েন্ট ছাড়া শেখ রাসেলের কাছে বিকল্প কোনো রাস্তা ছিল না। না, জয় পরাজয় নয়। দু'দলকে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। আবাহনী বা শেখ রাসেল জালে বল পাঠানোর অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু ৯০ মিনিটে লড়াইয়ে কেউ আর গোলের দেখা পায়নি। এ ড্রয়ের পরও আবাহনীর ৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ থাকল ঠিকই। কিন্তু শেখ জামালের চেয়ে তারা ২ পয়েন্ট বেশি নষ্ট করল। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে রাসেলের একাউন্টে জমা থাকলো ১২ পয়েন্ট।