ঢাকায় প্রথম টেস্টে লজ্জাজনক হারের পর নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের প্রথমবারের মতো এক পেসার ফর্মুলা নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামে টাইগাররা। মুশফিকদের এ ফর্মুলা অনেকটা 'সফলই' বলা যায়। কারণ শ্রীলঙ্কার ১০ উইকেটের মধ্যে ৯ উইকেটেই ভাগাভাগি করে নিয়েছে বাংলাদেশের চার স্পিনার। এক পেসার ফর্মুলা আরও সফল হতো যদি বাধা হয়ে না দাঁড়াত লঙ্কান সাবেক অধিনায়ক কুমারা সাঙ্গাকারা। কারণ শ্রীলঙ্কার ইনিংসের অর্ধেকেরই বেশি রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান। সাঙ্গাকারার একক অবদানেই প্রথম ইনিংসে পাহাড়সম রান তোলে শ্রীলঙ্কা। আর রান বেশি দিয়ে ফেললেও স্পিনাররা টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের অল-আউট করে। এবারও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্বের সেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলিং দখলে নিয়েছে সাকিব।
শ্রীলঙ্কার ইনিংস জুড়েই সাঙ্গাকারার ব্যাটে বিপর্যস্ত ছিল টাইগাররা। কিন্তু টাইগারদের হয়ে বল হাতে যা একটু জবাব দিয়েছেন সাকিব। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন চন্ডিমাল ও লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে আউট করেছিলেন সাকিব। দ্বিতীয় দিনের শ্রীলঙ্কান ইনিংসের ১১১তম ওভারে দিলরুয়ান পেরেরাকে ফিরিয়ে দিনের নিজের প্রথম উইকেট শিকার করেন সাকিব। এর পর অজন্তা মেন্ডিস ও লাকমলকে সাজঘরে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেটের কোটা পূরণ করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারে এ নিয়ে একাদশবার পাঁচ উইকেট পেলেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যা দ্বিতীয়বার। এর আগে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব।
টাইগারদের পয়মন্ত ভেন্যু চট্টগ্রাম। সাকিব আল হাসানও দুই হাত ভরে দিতে কৃপণতা করেনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ১০ টেস্ট খেলেন সাকিব। যার মধ্যে নিজের ঝুলিতে যোগ করেন ৩৮ উইকেট। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন ৩ বার। যার মধ্যে ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৬ রানে ৭ উইকেট বোলিং ফিগার ছিল ক্যারিয়ার সেরা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওই টেস্টে ক্যারিয়ারের ম্যাচসেরা বোলিং ১১৫ রানে ৯ উইকেট নেন এ মাঠে।