ব্যাটসম্যানদের হোম গ্রাউন্ডকে 'লাকী গ্রাউন্ড' হিসেবে ধরা হয়। নিজের চেনা উইকেট ও কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে হোম গ্রাউন্ডে ব্যাটসম্যানরা রানের বন্যায় ভাসিয়া দেয়। কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানদের চেয়ে একটু ভিন্ন যেন চট্টগ্রামের লোকাল হিরো তামিম ইকবাল। চট্টগ্রামের চেনা পরিবেশে টেস্ট খেলতে এসে খেই হারিয়ে পেলেন টাইগারদের অন্যতম ভরসা এ ব্যাটসম্যান। বিগত টেস্টগুলোর মতো ফের দর্শকদের হতাশ করল তামিম। বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে লাকমালের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন এ হার্ডহিটার। এ নিয়ে চট্টগ্রামে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় 'শূন্য' ফেলেন এ লোকাল হিরো।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তামিম এ পর্যন্ত টেস্ট খেলেন ৯টি। যার মধ্যে ১৭ ইনিংসে ২৫.৪৭ গড়ে করেন মাত্র ৪৩৩ রান। চট্টগ্রামে কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও অর্ধশত রয়েছে মাত্র ৩টি। অর্ধশতগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ৮৬ রানের ইনিংসটি খেলেন ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। তামিমের চট্টগ্রামে খেলা ১৭ ইনিংসগুলো হচ্ছে- ১৪, ৯, ১৮, ৩৩, ০, ১৭, ৩১, ৫২, ৮৬, ১৪, ৫২, ৩৭, ৯, ১৫, ০, ৪৬ এবং ০। চট্টগ্রামে তামিমের ব্যাট কথা না বললেও ৩১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে তামিম ৩৭.৩০ গড়ে করেন ২২৩৮ রান। যার মধ্যে রয়েছে ৪টি সেঞ্চুরি এবং ১৪ অর্ধশত রানের ইনিংস। টেস্টে ক্রিকেটের পরিসংখ্যানই বলে দেয় হোম গ্রাউন্ডে কতটা নিষ্প্রাণ তামিমের ব্যাট।
তামিম দ্রুত আউট হওয়ায় হতাশ হয়ে শিরিন তোফা নামে এক তামিম ভক্ত বলেন, 'তামিম দলে থাকায় চট্টগ্রামের খেলাগুলো দেখি। আজকের তামিমের আউট হওয়ার ধরন আমাদের হতাশ করেছে।'
টেস্টে তামিমের নিষ্প্রাণ থাকলেও ওয়ানডেও তার হয়ে কথা বলে ব্যাট। চট্টগ্রামে ১০ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৩৪.৪৪ গড়ে করেন ৩১০ রান। যার মধ্যে ২ অর্ধশতক। পক্ষান্তরে ১২৪ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩০.০৯ গড়ে করেন ৩৭০২ রান।