শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৪ জুলাই, ২০২১

টিকায় থেমেছিল যত মহামারী

আবদুল কাদের
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
টিকায় থেমেছিল যত মহামারী

মানবসভ্যতা যত উন্নত হয়েছে, সংক্রামক রোগ তত ভয়ংকর হয়েছে। গত কয়েক হাজার বছরে অসংখ্য মহামারী পৃথিবীতে এসেছে। কালের পরিক্রমায় এসব মহামারী ধ্বংস করে দিয়েছে জনপদ, লাখো মানুষের জীবন। ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে অবশেষে ক্ষান্তও হয়েছে। তবে এসব মহামারী থেকে মানুষের মুক্তি মিলেছে টিকার মাধ্যমে।  আর পৃথিবীতে টিকার ইতিহাস মাত্র আড়াই শ বছরের। এখন পর্যন্ত সর্বসাকল্যে টিকার প্রয়োগে দুটি রোগ পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা গেছে।  আজ জানব চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত টিকায় থেমেছিল যেসব মহামারী...

 

টিকা কী?

টিকা (ভ্যাকসিন) এমন একটি জৈব রাসায়নিক যৌগ যা মানবদেহকে নির্দিষ্ট একটি সংক্রমণ, ভাইরাস বা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত করে। টিকা মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়াকে উত্তেজিত করে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করে। টিকায় মূলত যে বস্তুটির কারণে ওই রোগটি হয় তার একটি নিষ্ক্রিয় বা দুর্বল অংশ থাকে, যাকে ‘ব্লু-প্রিন্ট’ বলা হয়। এই অংশটি দেহে একই রকমের প্রতিক্রিয়া তৈরি করে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পরবর্তীতে ওই ভাইরাসের আক্রমণ শনাক্ত করতে সাহায্য করে এবং সেটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।    

 

কেন দেওয়া হয়

যে কোনো সংক্রামক ব্যাধি ঠেকানোর জন্য টিকা (ভ্যাকসিন) দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। টিকা মানব দেহে অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। এটি ভাইরাস বা জীবাণুকে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে মানবদেহে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। টিকা সাধারণত মৃত জীবাণু কিংবা তার বিষ থেকে তৈরি হওয়া রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুসদৃশ উপাদান, যা ওই উপাদানকে বহিরাগত হিসেবে শনাক্ত করে, সেটিকে ধ্বংস এবং স্মৃতিতে রাখতে অনাক্রম্যতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যাতে পরবর্তীতে অনাক্রম্যতন্ত্র ওইসব জীবাণুকে খুব সহজে পরবর্তী অনুপ্রবেশে শনাক্ত ও ধবংস করতে পারে।

 

কীভাবে আবিষ্কৃত হলো টিকা

টিকা তৈরি হওয়ার আগে বিশ্ব ছিল এক বিপজ্জনক জায়গা। তখন রোগে লাখ লাখ মানুষ মারা যেত। টিকার ধারণা তৈরি হয় চীনে। দশম শতাব্দীতে ‘ভ্যারিওলেশন’ নামক এক চিকিৎসাপদ্ধতি চালু ছিল। যার মাধ্যমে অসুস্থ রোগীর দেহ থেকে টিস্যু নিয়ে সুস্থ মানুষের দেহে বসিয়ে দেওয়া হতো। এর আট শতাব্দী পর ব্রিটিশ ডাক্তার এডওয়ার্ড জেনার লক্ষ্য করলেন গোয়ালিনীরা গরুর বসন্তে আক্রান্ত হলেও তাদের মধ্যে প্রাণঘাতী গুটি বসন্তের সংক্রমণ বিরল। অথচ এই গুটিবসন্ত ছিল তখনকার ভয়ানক সংক্রামক ব্যাধি। শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ গুটি বসন্তে মারা যেতেন। যারা বেঁচে যেতেন তারা হয় অন্ধ হয়ে যেতেন, কিংবা তাদের মুখে থাকত মারাত্মক ক্ষতচিহ্ন। ১৭৯৬ সালে ড. জেনার গরুর বসন্তের পুঁজ ইনজেকশন দিয়ে মানবদেহে প্রবেশ করান। কিছুদিন পর মানব দেহে গরুর বসন্তের লক্ষণ ফুটে ওঠে। এরপর একই প্রক্রিয়ায় গুটিবসন্তের জীবাণু ঢুকিয়ে দেন। কিন্তু দেখা গেল, মানবদেহে কোনো গুটি বসন্ত হলো না। সে সময় গরুর বসন্তের জীবাণু মানুষকে গুটিবসন্ত থেকে রক্ষা করেছে। ১৭৯৮ সালে ড. জেনারের সফল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। বিশ্ব প্রথমবারের মতো টিকা পায়।

 

রোগ নির্মূল হয়?

টিকার (ভ্যাকসিন) মাধ্যমে পৃথিবী থেকে মাত্র দুটি রোগই নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। একটি হলো স্মল পক্স, বাংলায় যাকে গুটিবসন্ত বলা হয়। আর অন্যটি রাইন্ডারপেস্ট নামে একটি ব্যাধি, যা মূলত গবাদিপশুর হতো। বিশ্বজুড়ে কয়েক ডজন রোগের টিকা চালু রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন রোগ প্রতিরোধের এসব ভ্যাকসিনে কিন্তু  এ রোগগুলো নির্মূল করা সম্ভব হয়নি।

 

কোন রোগ কখন নির্মূল হয়?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, কয়েকটি ধাপে টিকার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। প্রথমত নির্মূল, এরপর দূরীকরণ এবং পরে নিয়ন্ত্রণ। কমপক্ষে এক দশক পৃথিবীর কোথাও কোনো একটি রোগের অস্তিত্ব দেখা না গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওই রোগ নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে থাকে। ভাইরোলজিস্টদের মতে, কেবল গবেষণার জন্য পরীক্ষাগার বা গবেষণাগারে রোগটির জীবাণু সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

 

রোগ দূরীকরণ

রোগ নির্মূলের পরের ধাপ দূরীকরণ। করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার হয়েছে। যদিও মরণব্যাধি ভাইরাসের সংক্রমণ এখনো থেমে নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছয়টি মহাদেশীয় অঞ্চলের মধ্যে অন্তত চারটিতে যদি কোনো রোগে এক দশক কেউ আক্রান্ত না হন, তাহলে ধরে নেওয়া হয় রোগটি দূর হয়েছে। যেমন- পৃথিবীর বেশির ভাগ অংশে এখন আর মানুষ হাম রোগে আক্রান্ত হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামের টিকা ব্যবহারে এ রোগে মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ কমেছে।

 

নিয়ন্ত্রণ

নিয়ন্ত্রণের অর্থ- আক্রান্ত হওয়ার পর টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে রোগকে প্রতিরোধ করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, টিকার মাধ্যমে মৃত্যুর হার হ্রাস করা সম্ভব। গত এক শতাব্দীতে টিকা ব্যবহারের ফলে প্রাণহানির সংখ্যা অনেক কমেছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের গবেষণা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উন্নত গবেষণা আর টিকার কারণে উন্নত বিশ্বে প্রায় বিলীন হওয়া অনেক ব্যাধি উন্নয়নশীল ও  অনুন্নত দেশে এখনো বিরাজ করছে।

 

প্লেগ

প্লেগ-এর শাব্দিক অর্থ মহামারী। এটি মানব সভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীনতম মরণ ব্যাধি। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ৩০ হাজার বছর আগেও পৃথিবীতে প্লেগ রোগের উপস্থিতি ছিল। ‘ব্ল্যাক ডিজিজ’ বা ‘কালো রোগ’ অথবা ‘বুবোনিক প্লেগ’ নামে ইতিহাসে লেখা আছে। ৫৪১ সালে রোগটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। শুরুটা হয়েছিল মিসর থেকে। এরপর বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ও সেখান থেকে পুরো ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এই প্লেগ। কনস্টানটিনোপল থেকে এই রোগ ইউরোপ, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। নতুন গবেষণা বলছে, ২ হাজার বছর আগে চীনে প্লেগের জন্ম। অন্যদের ভাষ্য, মহামারী প্লেগের জন্ম এশিয়ার মধ্যাঞ্চলে। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য গবেষণা হলো, ১৩৩১ সালে চীনের ইউয়ান সাম্রাজ্যে অজানা এক মহামারী রোগ শুরু হয়েছিল। ১৩৩৫ সালে পারস্য ও মধ্যপ্রাচ্যের মোঙ্গল শাসক আবু সাঈদ এই রোগে মারা গেছেন। আরও কয়েক বছর পর চীনের হুবেই প্রদেশের ৯০ ভাগ বাসিন্দাই এমন মহামারীতে ভুগে মারা গেছেন। মোট ৫০ লাখ বলে জনসংখ্যাবিদদের হিসাব। বাকিরা পালিয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন। প্লেগের কোনো চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ স্থানত্যাগ করেছেন। তবে ১৩ শতকের শুরুতে প্লেগ এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে ছড়াতে থাকে রোগীর মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসবিদ ক্যালি চ্যাপেস্কিনের এক লেখায় আছে, মধ্য এশিয়ার কিরগিজস্তানের ইজেক-কল হ্রদের তীরে প্রত্নতাত্তি¡ক খননে জানা গেছে, ১৩৩৮ থেকে ১৩৩৯ সালে নেস্টোরিয়ান নামের খ্রিস্টান বাণিজ্যিক সম্প্রদায় অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। নিদর্শনগুলো গবেষণার পর বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, সেখানে একটি নির্দিষ্ট জাতের ইঁদুরের বসবাস ছিল। ওরাই প্লেগ ছড়িয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, প্লেগের মূল বাহক ছিল ইঁদুর। বলা হয়ে থাকে, ভয়ংকর এই মহামারীতে প্রায় ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। অনেকে আবার বলেন, এতে নাকি বিশ্বের তৎকালীন মোট জনসংখ্যার অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মরক্কোর অমর ভূ-পর্যটক ইবনে বতুতার লেখায় আছে, ১৩৪৫ সালে সিরিয়ার বিখ্যাত দামেস্ক শহরে মহামারীতে ভুগে দিনে গড়ে প্রায় ২ হাজার মানুষ মারা গেছেন। ১৩৪৯ সালে মক্কায় প্লেগ হানা দেয়। হাজীদের মধ্যে তখন প্লেগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। তার দুই বছর আগে, ১৩৪৭ সালে কৃষ্ণসাগরের ১২টি জাহাজ সিসিলিয়ানদের বন্দরে নোঙর করে। আতঙ্কিত নগর অধিবাসীরা দেখলেন, জাহাজের নাবিকদের বেশির ভাগই মারা যান শরীরভরা পুঁজ ও কালো বিষফোঁড়া আছে এমন কোনো অজানা রোগে খুব কষ্ট পেয়ে। ইউরোপে এভাবে এলো প্লেগ। মহামারী আকারে ছড়িয়ে মহাদেশটিকে প্রায় ধ্বংস করে দেয় ভয়াল রোগটি। ১৪ শতকের মাঝে পারস্যের মোট জনসংখ্যার ৩০ ভাগই প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ১৫ শতকে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ নিশ্চিহ্ন হয়েছে প্লেগে। ১৬ ও ১৭ শতকে ইউরোপের অনেক নারীকে ডাইনি বলে পুড়িয়ে মারা হয়। এভাবেও প্লেগ থেকে বাঁচতে চেয়েছে মানুষ। তবে মহামারী প্লেগের আধুনিক চিকিৎসার জনক সুইস-ফরাসি চিকিৎসক ও রোগজীবাণুবিদ আলেকজান্দার ইরসিন। ১৮৯৪ সালে তিনি এই রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন। তার নামেই রাখা হলো ঘাতক রোগের কারণ ‘ইরসিনিয়া প্যাসটিস’ ব্যাকটেরিয়ার। ১৯৭০ সালে ভারতে প্লেগে লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হন। অবশ্য বছর পাঁচেকের মধ্যেই রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনো বিশ্বজুড়ে রোগটির ব্যাকটেরিয়া প্রাণীদেহে আছে। যা মানুষের শরীরে ছড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৭ সাল পর্যন্ত রোগটিকে পৃথিবীর তিনটি ঘাতক ব্যাধির অন্যতম হিসেবে চিহ্নিত করে।

 

গুটিবসন্ত

এক সময়ের ভয়ানক রোগের নাম গুটি বসন্ত। যার নাম শুনলে মানুষ এলাকা ছেড়ে পালাত। রোগটি শুধু জীবন কেড়ে নেয় না, মানবদেহের সৌন্দর্যও ধ্বংস করে দেয়। এই রোগের কারণে আক্রান্তরা দৃষ্টিশক্তি হারাত। ‘ভ্যারিওলা’ নামক ভাইরাস থেকে জন্ম নেওয়া এই মহামারীতে বিশ্বের অসংখ্য মানুষ মারা যায়। আমাদের দেশে এটি ওলাওঠা, ওলাবিবি ও বসন্তবিবি নামে বেশি পরিচিত। রোগের প্রথম প্রমাণ মেলে খ্রিস্টপূর্ব তিন শতকের মিসরের মমিগুলোয়। তাদের কেন হয়েছে আজও জানা যায়নি। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে জ্ঞানী আর্চবিশপ মেরিয়াস সংক্রামক ভাইরাসটির নামে রোগটির নাম রাখলেন ‘ভ্যারিওলা’। ৯০০ খ্রিস্টাব্দে পারস্য চিকিৎসাবিজ্ঞানী আল-রাজি এর উপসর্গের বিবরণ দেন। ১৬৭৫ সালে থমাস সাইডেনহ্যাম রোগের বিস্তারিত বিবরণ দিলেন। ১৭৬৭ সালে উইলিয়াম হেবারডেন গুটি ও জলবসন্তের পার্থক্য করলেন। এই রোগের প্রাদুর্ভাবে ১৮ শতকে ইউরোপে প্রতি বছর গড়ে ৪ লাখ লোক মারা যেত। যাদের তিনভাগের একভাগ অন্ধ হয়ে যায়। ১৭৯৬ সালে ইংরেজ চিকিৎসক এডওয়ার্ড জেনার রোগটির টিকা আবিষ্কার করেন। ডা. জেনারের টিকা মানব ইতিহাসের অন্যতম ভয়ংকর এই মহামারীটিকে নির্মূল করা শুরু হয়। ডা. জেনারের টিকার উন্নয়ন ও ক্রমাগত প্রয়োগেই ১৯৭৭ সালে বিশ্ব থেকে গুটিবসন্ত ও জলবসন্ত রোগ নির্মূলের ঘোষণা এলো।

 

কলেরা

কলেরার উৎপত্তি ‘ভিব্রিও কলেরা’ নামক একটি বিশেষ জীবাণু থেকে। এটি মানুষের অন্ত্র প্রদাহের রোগ। এটি সাধারণত অনিরাপদ খাদ্য ও পানি ব্যবহারে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির মলে সংক্রমিত হয়। রোগী ঘন ঘন পাতলা মলত্যাগ করেন, তার শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। তাতে পানিশূন্যতা এবং ইলেকট্রোলাইটেস মানে রক্ত, ইউরিন, টিস্যুগুলো ও শরীরের তরল পদার্থ কমে গিয়ে শারীরিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে। কলেরা মহামারী আকার ধারণ করলে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। ১৮৮৩ সালে জার্মান বিজ্ঞানী রবার্ট কখ প্রথম কলেরার জীবাণু চিহ্নিত করেন। এক বছর পর স্প্যানিশ চিকিৎসক হেইমে ফেররান রোগীদের জন্য মার্সিলিনের টিকা তৈরি করেন। ওয়ালডেমার হাফকিনকম পার্শ¦প্রতিক্রিয়া আছে এমন একটি কলেরা রোগের টিকা তৈরি করেন। ১৯০২ সালে উইলহেলম কোল নামের আরেক বিজ্ঞানী কলেরার টিকা আবিষ্কার করেন। পরবর্তীকালে কলেরার টিকা চিকিৎসাবিজ্ঞানে অভাবনীয় সাফল্য এনে দেয়। ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে এই রোগের টিকা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, উন্নত দেশগুলোতে কলেরার প্রকোপ অনেকটাই দূর হয়েছে। তবে আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এখনো কলেরা রোগে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।

 

পোলিও

এটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এর এন্টারোভাইরাস মানবদেহে পোলিও রোগের জন্ম দেয়। পোলিওমায়েলাইটিস এক প্রাণঘাতী প্যারালাইটিক রোগ, যা রোগীর পেশিতে সারা জীবনের স্থায়ী দুর্বলতার জন্ম হয়। যা শিশুদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। রোগটি এক সময় মহামারী আকার ধারণ করেছিল। অস্ট্রিয়ার জীববিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার ও আরউইন পপার ১৯০৯ সালে পোলিওর ভাইরাস চিহ্নিত করেন। ১৯৫০ সালে মার্কিন গবেষক জোনাস সল্ক প্রথম পোলিওর টিকা আবিষ্কার করেন। তার পাঁচ বছর পর উন্নততর সংস্করণ করে প্রথম খাওয়ালেন পোলিশ-মার্কিন চিকিৎসাবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট সেইবেন। তিনি ১৯৬১ সালে পোলিও রোগের টিকার চূড়ান্ত আবিষ্কার করেন। তাঁর তৈরি টিকাটি সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচও (হু) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করে। বিশে^ এর প্রকোপ কমলেও পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়ায় এখনো শিশুরা পোলিও আক্রান্ত হচ্ছে।

 

যক্ষা

১৮ ও ১৯ শতকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় যক্ষা মহামারী আকার ধারণ করেছিল। ১৮৮২ সালে জার্মান বিজ্ঞানী রবার্ট কখ রোগটি চিহ্নিত করেন। ১৯২১ সালে প্যারিস পাস্তুর ইনস্টিটিউটে যক্ষা রোগের টিকা আবিষ্কার হয়। প্রতিষ্ঠানটির রোগ প্রতিরোধ বিজ্ঞানী ক্যামি গিরহা যক্ষার টিকা আবিষ্কার করেন। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে বাসিলুস-কলেমেথ-গিরহা (বিসিজি) নামের টিকাটি শিশুদের যক্ষা প্রতিরোধে দেওয়া হচ্ছে। যক্ষার আরও নানা ওষুধ আবিষ্কার ও ব্যবহারে বিশ্বজুড়ে মহামারী রোগটির প্রকোপ কমে আসে। একে সংক্ষেপে টিউবারকুলোসিস বলা হয়। এটি মানুষের ফুসফুসে আক্রান্ত হয়। অগ্ন্যাশয়, মাংসপেশি ও থাইরয়েড গ্রন্থি বাদে শরীরের যে কোনো অংশ আক্রান্ত হতে পারে। এখনো বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ টিবি বা যক্ষা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা রোগটিকে নির্মূলে অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ডব্লিউএইচও (হু) আশা করছে ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষা বিশ্ব থেকে নির্মূল হয়ে যাবে।

 

ইয়েলো ফিভার

ইয়োলো ফিভার (পীতজ্বর) ভাইরাসঘটিত রোগ। ইয়োলো ফিভার নামক ভাইরাস থেকে রোগটি ছড়ায়। এটি মশাবাহিত রোগ। ১৬৪৭ ও ১৬৪৮ সালে বার্বাডোস দ্বীপে ও গুয়েদালুপ দ্বীপে ইয়োলো ফিভার মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ইয়েলো ফিভার উত্তর আমেরিকায় যায় ১৬৬৮ সালে। বোস্টনে মহামারী ছড়িয়ে পড়ে ১৬৯১ সালে। এর কয়েক বছর পরই ছড়িয়ে পড়ে ফিলাডেলফিয়ায়। মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মারা যায়। আমেরিকা থেকে ছড়ায় ২৭টি দেশে। ১৭ শতকে রোগটি আমেরিকা, আফ্রিকা ও ইউরোপে বেশ কয়েকবার মহামারী আকারে দেখা দেয়। ১৮ ও ১৯ শতকে রোগটিকে ভয়ানক সংক্রামক ব্যাধি হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯২৭ সালে প্রথম ইয়োলো ফিভার ভাইরাসকে পৃথক করা হয়। তবে এর টিকা আবিষ্কার হয়েছিল অনেক পরে। ১৯৩৮ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানী ম্যাক্স ইয়োলো ফিভারের টিকায় সাফল্য পান। বর্তমানে রোগটির প্রতিরোধে কার্যকর ও নিরাপদ টিকা এখন বিদ্যমান।

 

ইনফ্লুয়েঞ্জা

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসজনিত রোগ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৮ সালে রোগটি মহামারী আকার ধারণ করে। অর্থোমিক্সোভিরিডি ফ্যামিলির ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারা যান। ইতিহাসে এটি স্প্যানিশ ফ্লু নামে পরিচিত। ১৯৫৭-১৯৫৮ সালে এশিয়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ ঘটলে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ মানুষ মারা যান। এশিয়ান ফ্লু নামে এই মহামারী চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম সেনাদের ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দেয়। পরের বছর সর্বসাধারণের মাঝেও এ টিকা প্রয়োগ করা হয়। স্প্যানিশ ফ্লুতে প্রতি ৬৭ জন মার্কিন সেনার একজনের মৃত্যু হলে সরকার এই মহামারীর টিকা আবিষ্কারের জন্য মরিয়া হয়ে প্রচেষ্টা চালায়। ১৯৫৭ সালে হংকং থেকে এই ফ্লু ছড়িয়ে মহামারী আকার ধারণ করার শুরুতেই মার্কিন বিজ্ঞানী মরিস হিলম্যান তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি করেন। গবেষকদের ধারণা, এই টিকা না থাকলে সে সময় অন্তত ১ মিলিয়ন মানুষ মারা যেত।

 

সার্স

২০০৩ সালে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল সার্স নামের এক সংক্রামক ভাইরাস। বিশ্বের ১৭টি দেশে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে এবং মৃত্যু হয় ৭৭৪ জনের। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সার্স ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে। অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক বিশেষ ধরনের বিড়াল প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বাহক। তবে এটি বাদুড়ের দেহেও পাওয়া যায়। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে দুবার এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ রকম আরেকটি ভাইরাস মার্স। এটি সার্সের একই গোত্রীয় ভাইরাস। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ রোগের জীবাণু সহজে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। সার্স ও মার্স ভাইরাসে আক্রান্তদের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই, তবে ডাক্তারদের পরামর্শে স্টেরয়েড এবং অ্যান্টিভাইরাল ওষুধে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ছয় মাসের প্রচেষ্টায় সংক্রামক ভাইরাস দুটি নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

ইবোলা

২০১৪ সালে বিশ্বে এক মূর্তিমান আতঙ্ক ছিল ইবোলাভাইরাস। মারাত্মক সংক্রামক এ ভাইরাসজনিত রোগটি পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ১৯৭৬ সালে প্রথম শনাক্ত হয় ইবোলাভাইরাস। মধ্য আফ্রিকার ইবোলা নদীর তীরে প্রথম সংক্রমণ ঘটে বলে নদীটির নামেই ভাইরাসটির নামকরণ হয়। ইংরেজিতে এর নাম দেওয়া হয়েছে ইবোলাভাইরাস ডিজিজ বা ইভিডি। বলা হচ্ছে, বাদুড়ের খাওয়া ফল থেকে এ ভাইরাস মানুষের দেহে প্রথম প্রবেশ করে। পরে তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে মোট ১৯ হাজার ৪৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং এর মধ্যে ৭ হাজার ৫৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই রোগে সেরে ওঠা রোগীদের দেহ থেকে নেওয়া সিরাম দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ কয়েকটি দেশে টিকা বা প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে। বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ইবোলা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
কখন থেকে সানগ্লাস
কখন থেকে সানগ্লাস
জিন্স কাহন
জিন্স কাহন
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
ইরানের সেকাল-একাল
ইরানের সেকাল-একাল
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা