ঈদের প্রথম দিনের মতো তৃতীয় দিনেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা-বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বধ্যভূমি ৭১, বিটিআরআই, বাংলাদেশ বন্য প্রাণি সেবা ফাউন্ডেশন, নীলকণ্ঠের ১০ লেয়ার চা, চা-কন্যার ভাস্কর্য, টি রিসোর্ট মিউজিয়াম, বাইক্কাবিল, মণিপুরী পাড়ার হস্তশিল্পের দোকানসহ বিভিন্নস্থানে পর্যটকদের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি।
ঈদে কোনো হোটেল রিসোর্ট ও কটেজে রুম খালি নেই। সবগুলোর কক্ষ বুকিং আগাম হয়ে গেছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মাহমুদুল কবির রমজানে ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে এসেছেন। শ্রীমঙ্গলের সবুজ চায়ের বাগান, টিলা, লাউয়াছড়াসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছেন।
তিনি বলেন, এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য যে কোনো মানুষকে বিমোহিত করবে। আর এখানে আসার খরচও অনেক কম।
তাহসিন আহমেদ নামের আরেক এক পর্যটক বলেন, শ্রীমঙ্গলের পর্যটনকেন্দ্রগুলো সুন্দর হলেও এখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব খারাপ। যেহেতু এখানে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় হয়, তাই রাস্তাঘাটের ব্যাপারে অবশ্যই গুরুত্বারোপ করা উচিত।
শ্রীমঙ্গল ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আহাদ মিয়া বলেন, ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পর্যটকের আগমন হচ্ছে। শ্রীমঙ্গলে দর্শনীয় স্থান ও ভালো মানের হোটেল-রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট থাকার কারণে এখন পর্যটকেরা শ্রীমঙ্গলকেই বেছে নিচ্ছেন।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার আহ্বায়ক ও টি হ্যাভেন রিসোর্টের পরিচালক আবু সিদ্দিক মুসা বলেন, ঈদের ছুটির পরও আমাদের শ্রীমঙ্গলের হোটেল-রিসোর্টগুলোতে ভালো পর্যটক আছে। আশা করছি এ রকমভাবে আরও কয়েক দিন যাবে।
তিনি বলেন, পর্যটকদের জন্য ট্রেন ও বাসের পর্যাপ্ত টিকিট না থাকার কারণে পর্যটকেরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। যেহেতু বিশেষ দিনগুলোতে এখানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ে, তাই সেই সময়ে এখানে বিশেষ যানবাহনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। যাতে পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক বলেন, শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে। পর্যটকেরা যাতে আনন্দঘন পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে পারেন সে লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/০৭ জুন, ২০১৯/আরাফাত