চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চসেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান স্বেচ্ছায় অবসরে যান গত ১৬ নভেম্বর। এরপর প্রায় দুই মাস পার হলেও অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে অধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় গত ডিসেম্বর মাসের বেতন ভাতা পাননি ৩২৮ চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারি। স্থায়ী অধ্যক্ষ না থাকায় এ সমস্যার সমাধান মিলছে না। সঙ্গে থমকে আছে কলেজের প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কাজ।
চমেক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৬ নভেম্বর অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান অবসরে গেলে শূন্য পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ। তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করলেও আর্থিক সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে গত ডিসেম্বর মাসে চমেকের মোট ৩২৮ জন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা বেতন ভাতা পাননি। এর মধ্যে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারি অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন ১৮৭ জন এবং কর্মকর্তা আছেন ১৪১ জন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ না দেওয়ায় ৩২৮ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন দেওয়া যায়নি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করায় অর্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়েও সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না। আর্থিক কাজ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হয়। সেটি এখনও জারি হয়নি। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাই বর্তমানে আমি রুটিন কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি শিগগির এ সমস্যার সমাধান মিলবে।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন