ফরিদপুরে হত্যার দায়ে শেখ আজাদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ফরিদপুর জেলা ও দায়রা আদালত। গতকাল এ রায় দেওয়া হয়। বিগত ২০১৭ সালের এক হত্যা মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেওয়া হয়।

বাচ্চু খান নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ফরিদপুর জেলা আদালত। জরিমানা অনাদায়ে ওই ব্যক্তিকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. সেলিম মিয়া গতকাল এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় হত্যা মামলার আসামি বাচ্চু খান উপস্থিত ছিলেন। বাচ্চু খান ফরিদপুর শহরের দুই নম্বর হাবেলি গোপালপুরস্থ ডগ বস্তির বাসিন্দা। নিহত শেখ আজাদ বাচ্চু খানের ভায়রা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লুঙ্গি সেলাই না করায় বাচ্চু খানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আঁখি আক্তারের বচসা হয়। এসময় পাশের বাড়িতে বসবাসকারী শেখ আজাদ তাদের বচসা ঠেকাতে এগিয়ে এলে বাচ্চু খান লোহার রড দিয়ে আজাদের মাথায় আঘাত করেন। এতে আজাদ গুরুতর আহত হন। আজাদকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওইদিনই নিহত আজাদের বাবা হারুন শেখ বাদী হয়ে বাচ্চু খানকে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এলাকাবাসী বাচ্চু খানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।  গত ২০১৭ সালের ২৩ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বাচ্চু খানকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।