সূর্য যখন ভ্যাল বাডিয়ার সরু চূড়াগুলোর ঠিক পেছনে ডুবে যাচ্ছিল, ঠিক তখন হতদরিদ্র টনি তার দোকানে এক জোড়া নতুন জুতো তৈরির জন্য সবকিছু গুছিয়ে রাখছিল। আজকের মতো তার কাজ শেষ! সে টুল থেকে ক্লান্ত হয়ে উঠে দাঁড়ালো, আর প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ির পথে পা বাড়ালো।
পরের দিন সকালে, টনি যখন তাড়াতাড়ি দোকান খুলল, সে অবাক হয়ে দেখল জুতো দু’টো তৈরি হয়ে আছে! এই অদ্ভুত ঘটনা তাকে সারা সকাল ভাবিয়ে তুলল। কিন্তু সে রহস্যের সমাধান খুঁজে পেল না। অতঃপর বাড়ি ফিরে সে তার স্ত্রীকে সব খুলে বলল।
স্ত্রী এই অ™ভূতুরে কথা শুনে চোখ বড় বড় করে টনির দিকে তাকালো, পরে নিশ্চিত হলেন যে, তার স্বামী বাজারের সরাইখানায় গিয়ে বেশি মদ খায়নি। তিনি টনিকে রহস্য সমাধানের জন্য দোকানে রাত কাটাতে বললেন। কিন্তু টনি ছিল একটু ভিতু প্রকৃতির মানুষ। তাই মাঝরাত হওয়ার আগেই ভয়ে সে দোকান থেকে ছুটে পালাল।
ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ, তার স্ত্রী ছিলেন একদম অন্যরকম। সেদিন রাতে তিনি চুলার পেছনে লুকিয়ে টনির জায়গা নিলেন।
এক সময়, দরজার ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে নীরবতা ভাঙল। হাতে লণ্ঠন নিয়ে হাজির হলো দুটি ছোট বামন! তারা টেবিলে বসে পেরেক আর হাতুড়ি দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে শুরু করল।
এ ঘটনা স্বামী-স্ত্রীকে খুব খুশি করল। তারা ঠিক করল, বামনদের জন্য এক জোড়া সুন্দর পোশাক কিনে দোকানের কাউন্টারে রেখে দেবে। সেই রাতেও বামনরা তাদের কাজ করতে ভুলল না। তারা পোশাকগুলো পরল, এক জোড়া নতুন জুতো তৈরি করল, কিন্তু তারপর বামনরা আর কখনো ফিরে আসেনি। এদিকে টনি ও তার স্ত্রী ভাবল, বামনরা হয়তো নতুন পোশাক আর জুতো পরে নতুন কোনো কাজে বেরিয়ে পড়েছিল!