উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রতিদিনই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও দুই মাসের ব্যবধানে উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এক প্রতিরক্ষা ফোরামে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের সম্ভাবনা দিন দিন বাড়লেও অস্ত্রের সংঘাতই একমাত্র সমাধান নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সর্বশেষ এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে পিয়ংইয়ং দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে দাবি করে আসছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, এই নতুন ধরণের ব্যালাস্টিক মিসাইল যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় হামলা চালাতে সক্ষম।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রচারিত খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক রাষ্ট্র হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করে সাফল্য অর্জন করেছে। আর একে পুরো বিশ্বের জন্যই হুমকি হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত কয়েক মাস ধরে উত্তর কোরিয়ার চলমান পরমাণু কর্মসূচিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দেশটি প্রথম ক্ষেপাণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রসঙ্গ এনে ম্যাকমাস্টার বলেন, সমস্যা মোকাবেলায় অস্ত্রের সংঘাতের সুযোগ রয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় তিনি (কিম জং উন) ক্রমাগত কাছে চলে আসছেন। সে কারণে হাতে খুব একটা সময় নেই।
এজন্য বেইজিংকে জোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, চীন দেশটির উপর সম্পূর্ণভাবে তেল অবরোধ আরোপ করলে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জ্বালানি যোগান দেওয়া কঠিন কঠিন হয়ে পড়বে। চীনের নিজেদের স্বার্থেই পিয়ংইয়ংয়ের উপর পুরোপুরি তেল অবরোধ আরোপ করা উচিত।
উল্লেখ্য, গত বুধবার উত্তর কোরিয়া একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। যা দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র।
বিডি প্রতিদিন/০৩ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত