পরীক্ষা করার সময় উত্তর কোরিয়ার মিসাইল আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আঘাত করতে পারত। কিন্তু উৎক্ষেপণ করার পর পৃথিবীর দিকে নেমে আসার সময় ভেঙে যায় সেটি। এমন খবরই প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত বুধবার পরীক্ষা করার সময় মাঝপথে ভেঙে যায় উত্তর কোরিয়ার শক্তিশালী Hwasong-15 ব্যালিস্টিক মিসাইল।
এর আগে জুলাইতে Hwasong-14 মিসাইল উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। সফলভাবে সেটি গিয়ে পড়ে জাপান সাগরে। তার থেকেও শক্তিশালী ছিল এবারের মিসাইলটি। ১৩০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে এই মিসাইল। অর্থাৎ অনায়াসে ওয়াশিংটনে হামলা চালাতে পারে এটি।
মিসাইল লঞ্চ করার পরের দিন 'Hwasong-15' নামে নতুন ওই মিসাইলের ছবি প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া। আর সেই ছবি দেখে মিসাইল বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যা ভাবা হয়েছিল তার থেকে প্রযুক্তিগতভাবে অনেক বেশি এগিয়ে এই মিসাইল। উত্তর কোরিয়া যে মিসাইল তৈরির ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা এগিয়েছে, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
NK News নামের এক ওয়েবসাইটে স্কট ল্যাফয় নামে এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছে, এটা একটা অত্যন্ত বড় আকারের মিসাইল। যা ভেবেছিলাম, তার থেকে অনেক বড়। এটি আমেরিকার Titan II-এর মত দেখতে, যেটি প্রথমে ব্যালিস্টিক মিসাইল হিসেবে বানানো হলেও পরে মার্কিন এয়ার ফোর্স ও নাসা এটিকে স্পেস লঞ্চ ভেইকল হিসেবে ব্যবহার করেছে। মিসাইল নিয়ে যাওয়ার যে ট্রাকের ছবি দেখা গেছে, তা দেখে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সেটি চীনের লাম্বার ট্রাকের অনুকরণে তৈরি হয়েছে। যদিও নিজেদের দেশেই তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি উত্তর কোরিয়ার।
মিসাইলের 'নোজ কোন' আগেরটার থেকে একটু কম তীক্ষ্ণ। যাতে মিসাইলের গতি একটু কমতে পারে। তবে এটি বিশাল আকারের ওয়ারহেড বহন করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে পরীক্ষার সময় অপেক্ষাকৃত কম ওজনের ওয়ারহেড বহন করেছে।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়াও দাবি করেছে- যে এটি তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী মিসাইল। এই মিসাইল নাকি আমেরিকার যে কোনও স্থানে আঘাত করতে সক্ষম। যা নিয়ে নতুন করে অশনি সঙ্কেত দেখছেন অনেকেই। অনেকের মতে, উত্তর কোরিয়ার এই শক্তি পরীক্ষা বিশ্বকে আরও একবার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০৪ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত