শ্রীলঙ্কার সদ্যনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের সঙ্গে দেখা করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জনসংযোগ বাড়ানো নিয়ে তাদের মধ্যে বিস্তারিত কথা হয়েছে। সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির একটি চিঠি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দিয়েছেন কুরেশি।
পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়েও গোতাবায়ার সঙ্গে কুরেশির কথা হয়েছে। এছাড়াও, মাদক পাচার ও সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের সহায়তা চেয়েছেন গোতাবায়া।
প্রসঙ্গত, গতমাসেই ভারত সফরে আসেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজপক্ষে। তার সঙ্গে আলোচনার পর দ্বীপরাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ৪৫ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে দক্ষিণ শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা নামে যে বন্দরটি চীনকে ১১০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ৯৯ বছরের লিজ দেওয়া হয়েছিল তা শ্রীলঙ্কা সরকার ফিরিয়ে নিতে চায়। বিশ্লেষকদের মতে, ‘চীনপন্থী’ গোতাবায়াকে অনেকটাই সন্দেহের চোখে দেখছে নয়াদিল্লি। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শ্রীলঙ্কা সফরে যে সাউথ ব্লকে উদ্বেগ ছড়িয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় চীন ঘনিষ্ঠ পরিবার বলেই পরিচিত রাজাপক্ষ পরিবার। এর আগে ২০১৫ সালে গোতাবায়ার ভাই ও শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাহিন্দা রাজাপক্ষ যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন চীন প্রচুর টাকা ঢেলেছিল বলেও অভিযোগ। গোতাবায়া একসময়ে শ্রীলঙ্কান সেনাপ্রধান ছিলেন। তার নেতৃত্বেই ১০ বছরের এলটিটিই সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করতে সমর্থ হয় শ্রীলঙ্কা। এবছর জঙ্গি হামলার পরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা