বৃহস্পতিবার টেট দুর্নীতি মামলায় পর্ষদের দুর্নীতি নিয়ে উল্লেখযোগ্য মৌখিক পর্যবেক্ষণ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “দুর্নীতি এবং মানিক ভট্টাচার্যের রেশ কাটিয়ে উঠতে পর্ষদের আরও ২-৩ বছর সময় লাগবে।”
উল্লেখ্য, টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ওই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে অভিযোগ করা হয়, শুধু হাজিরা দিয়েই কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী নম্বর পেয়েছিলেন। তাদের কোনও পরীক্ষাই নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “কেউ আর্জেন্টিনার জার্সি পরে আছে বলে নম্বর পেয়ে যাবে, ব্রাজিলের জার্সি পরলে নম্বর পাবে না, এটা হতে পারে না।”
শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যে ১৮৩ জন নবম ও দশম শ্রেণিতে বেআইনিভবে নিযুক্ত হয়েছে বলে এসএসসি জানিয়েছে, তাদের নাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসএসসি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। সেই সঙ্গে তিন দিনের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত জেলার ডিআই-দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানাতে হবে এরা কোন স্কুল কর্মরত বা আদৌ কর্মরত কি না। কোনও ডিআই যদি সহযোগিতা না করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
পরে ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এদিকে বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিচারপতি আরও বলেন, “অনেক ধেড়ে (বড়) ইঁদুর বের হবে।”
এদিকে সিবিআইকে তিনি নির্দেশ দেন, হার্ড ডিস্কের তথ্য পরীক্ষা করে জানাতে হবে কীভাবে নম্বর বাড়ানো হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/কালাম