মেহেরপুরের মুজিবনগরে স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শনে এসে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাঙালি জাতির জীবনে স্বাধীনতা সড়কের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৭১ সালের ১৭ ই এপ্রিল জাতীয় চার নেতা এই পথ দিয়ে এসে মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলাদেশ প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। এই পথ দিয়েই পাকিস্থানের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং বাংলাদেশের মানুষের এবং সারা বিশ্বের মানুষের জনমত সৃষ্টি করার জন্য মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ ভারতে গিয়েছে। তাই ভারতের সাথে সড়কটি আমাদের সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত আমাদের অভূতপূর্ব সাহায্য করেছে ১ কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। আমাদের দু:সময়ে যারা আমাদের পাশে ছিল তাদের আমরা স্বরণ করি। তেমন গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দেশের মানুষকেও স্বরণ করি।
এর আগে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন হেলিকপ্টার যোগে সকাল সাড়ে ১১ টার সময় মেহেরপুরে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স হেলিপেডে অবতরণ করেন।
গার্ড অফ অনার শেষে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মুজিবনগ স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, এলজিডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার।
উল্লেখ্য, মুজিবনগর থেকে কলকাতা পর্যন্ত “স্বাধীনতা সড়ক” নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এক কোটি চার লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের অংশের ৫শ মিটার রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল