কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আদলে বাংলাদেশও প্রথমবারের জন্য আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজন করতে চলেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে একসপ্তাহব্যাপী এই আন্তর্জাতিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৪৪ বছর ধরে কলকাতা বইমেলার আয়োজন করে আসছে ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’। স্বভাবিক ভাবে অভিজ্ঞতাও বেশি। তাই ঢাকায় হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক বইমেলায় তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসের উপহাইকমিশন।
এবার আন্তর্জাতিক এই বইমেলায় বিদেশি প্রকাশনী সংস্থারাও তাদের স্টল নিয়ে হাজির থাকতে পারবে। এব্যাপারে উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান জানান, ‘জেনেভায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইপিএ)-এর সাথে যোগাযোগ করে আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন করার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। এই সংস্থাই আন্তর্জাতিক বইমেলার জন্য দিন নির্দিষ্ট করবে। প্রথম এই ধরনের বইমেলার আয়োজন নিয়ে আমরা অধীর আগ্রহে রয়েছি। কলকাতা বইমেলার মতোই আমাদের দেশের ক্যালেন্ডারেও এবার থেকে স্থান পাবে এই বইমেলা।’
বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চ্যাটার্জি জানান, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বইমেলাকে সহায়তা করার জন্য আমাদেরকে যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাই প্রমাণ করে যে কলকাতা বইমেলায় আমাদের প্রচেষ্টা কতটা প্রাণবন্ত ছিল। এটা আমাদের কাছে একটা বড় সম্মানের।’
গত ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার সমাপনী দিনে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনীর পক্ষে ফরিদ আহমেদও জানিয়েছিলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইপিএ)’এর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মেলা আয়োজনে তারাও সমস্ত রকমের সহায়তা করবে।’
৪৪তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয় আগামী ২০২১ সালের বইমেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হবে। কেবল তাই নয়, ৪৫তম বইমেলার থিম কান্ট্রির মর্যাদাও দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের জন্য বিশেষ প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ করা হবে। ওই বইমেলা উদ্বোধনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ইতিমধ্যেই বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক